ক্ষতিপূরণে বেড়েছে আগ্রহ
Crop insurance

ফসল বিমায় আবেদন প্রায় পাঁচ লক্ষের

জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর খরিফ মরসুমে যেখানে ২লক্ষ ৩২হাজার কৃষক বাংলা ফসল বিমা যোজনায় নাম লিখিয়েছিলেন। এবারে সেখানে খরিফ মরসুমে ধান ও পাট মিলিয়ে ৪লক্ষ ৮০হাজার কৃষক বিমা করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২০ ০১:৫০
Share:

প্রতীকী ছবি।

বাংলা ফসল বিমা যোজনার রেকর্ড সংখ্যক কৃষক আবেদন করলেন। এবারে খরিফ মরসুমে মুর্শিদাবাদের প্রায় ৪লক্ষ ৮০ হাজার কৃষক এই প্রকল্পে নাম লিখিয়েছেন। ৩১ অগস্ট থেকে দু’দফায় সময় বাড়িয়ে ৩০সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলা ফসল বিমা যোজনায় আবেদন করার সময়সীমা ছিল। তাতে দেখা গিয়েছে এবছর খরিফ মরসুমে সব থেকে বেশি কৃষক ফসল বিমা যোজনার আওতায় এসেছেন। মুর্শিদাবাদের উপকৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) তাপসকুমার কুণ্ডু বলেন, ‘‘গত বছর রবি মরসুমে জেলায় ৩ লক্ষ ৪০ হাজার কৃষক বাংলা ফসল বিমা যোজনার আওতায় এসেছিলেন। সেটাই সর্বকালীন সেরা ছিল। এবারে সেই রেকর্ড ভেঙে ৪ লক্ষ ৮০ হাজার কৃষক তাতে নাম লেখালেন।’’

Advertisement

জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর খরিফ মরসুমে যেখানে ২লক্ষ ৩২হাজার কৃষক বাংলা ফসল বিমা যোজনায় নাম লিখিয়েছিলেন। এবারে সেখানে খরিফ মরসুমে ধান ও পাট মিলিয়ে ৪লক্ষ ৮০হাজার কৃষক বিমা করেছেন। জেলা কৃষি দফতরের এক আধিকারিক জানান, এক সময় কৃষকদের বাংলা ফসল বিমা যোজনার প্রতি আগ্রহ কম ছিল। তাঁরা ফসল বিমা করতে রাজি হতেন না। কৃষকদেরও অভিযোগ ছিল, ফসলের ক্ষতি হলেও বিমায় ঠিক মতো ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায় না। তবে গত কয়েক বছর থেকে কৃষি দফতর ফসল বিমার বিষয়ে লাগাতার সচেতন করছে। যার জেরে কৃষকদেরও আগ্রহ বাড়ছে।

মুর্শিদাবাদের উপকৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) তাপসবাবু বলেন, ‘‘ফসলের বিমা করলে তার ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায় না, এ কথা ঠিক নয়। গত কয়েক বছর থেকে কৃষকরা যে বিমার ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন সেই উদাহরণ তাঁদের সামনে তুলে ধরে সচেতন করা হয়েছে। গত বছরের ক্ষতিপূরণের প্রায় ৩৫কোটি এবছর জেলার কৃষকরা পেয়েছেন। তাও তুলে ধরা হয়েছে। যার জেরে কৃষকরা এগিয়ে এসেছেন।’’

Advertisement

কৃষি দফতর সূত্রের খবর, ২০১৬-১৭সালের খরিফ মরসুমে জেলায় ১০হাজার কৃষক ফসল বিমার ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রায় দু’কোটি আড়াই লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন। ২০১৭-১৮ সালের রবি মরসুমে জেলার ৭হাজার কৃষক ফসল বিমার ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রায় ১ কোটি ৮৬লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন। ২০১৮-১৯ সালের খরিফ মরসুমে দেড় হাজার কৃষক ৭৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছিলেন। ২০১৮-১৯সালের রবি মরসুমে জেলার ৩৭ হাজার কৃষক ফসল বিমার টাকা পেয়েছিলেন ২ কোটি ৭০লক্ষ। ২০১৯-২০সালের খরিফ মরসুমে ৫৩ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ৩৪কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা পেয়েছেন। এই সব উদাহরণ তুলে ধরে কৃষকদের বিমা করানোর জন্য বোঝানো হয়েছে।

জেলা কৃষি দফতর সূত্রের খবর, বাংলা ফসল বিমার জন্য কৃষকদের কোনও খরচ বহন করতে হয় না। কৃষকরা আবেদন করলেই নিখরচায় ফসলের বিমা করানো হয়। আর বিমার প্রিমিয়ামের খরচ বহন করে রাজ্য সরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement