ফাইল চিত্র।
এ বার চাষিদের ফসল ‘দখলে’ও সিন্ডিকেটের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে দলেরই মন্ত্রীর বিধানসভা এলাকায়। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চাষিরা লিখিত অভিযোগ করতেই ফসলের দাম বাবদ পুলিশের সামনেই বিঘে প্রতি মাত্র দু’হাজার টাকা করে ফেরত দিয়ে মুখ রক্ষার চেষ্টা করা হয় বল দাবি। তাতেও চাষিদের বিক্ষোভ কমেনি জঙ্গিপুরের চরের গ্রামে।
বাজিতপুর ও পিরোজপুর চরে ফসল নিয়ে সিন্ডিকেট রাজ কায়েম করার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল সমর্থক চাষিরাই তৃণমূলের কিছু নেতার বিরুদ্ধে। নেত্রীর কাছে পাঠানো অভিযোগে চাষিরা আঙুল তুলেছেন রঘুনাথগঞ্জ ২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সমিরুদ্দিন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে।যদিও সমিরুদ্দিন বলছেন, “আসল সত্যকে চেপে গিয়ে মিথ্যে অভিযোগ করেছেন কিছু চাষি। এর পিছনে রয়েছে সিপিএম, যারা নিজেরাই এক দিন চাষিদের ফসল লুঠ করত চরে।” এলাকাটি রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামানের। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ চাষিদের। যদিও আখরুজ্জামান বলেন, ‘‘সব মিথ্যে অভিযোগ। এ সব সিপিএমের চক্রান্ত। বাম জমানায় চরে কীভাবে চাষিদের ফসল লুঠ তা সবাই জানে।’’
সিপিএমের জেলা কৃষক সভার নেতা সোমনাথ সিংহ রায় বলেন, “তৃণমূলের বিরুদ্ধে ফসল লুঠের অভিযোগ তুলেছে এলাকার তৃণমূলই সমর্থক চাষিরাই। তাঁরা লিখিত অভিযোগ করেছেন তাঁদের দলের নেতাদের কাছে। ভয়ে এখন ২ হাজার টাকা করে ফেরত দিয়ে মুখ রক্ষা করতে চাইছে তৃণমূল নেতারা। এখানে সিপিএম কোথায়?”
জঙ্গিপুরের তৃণমূলের চেয়ারম্যান কানাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “অভিযোগ এসেছে এক তৃণমূল ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে। আমরা তদন্ত করে দেখছি। দলনেত্রীও দেখছেন পুরো বিষয়টি। কারণ অভিযোগ তাঁর কাছেও গিয়েছে।”
অভিযোগ, প্রায় তিন মাস আগে প্রায় সাড়ে তিনশো বিঘে জমির কলাই কেটে নিয়েছে তৃণমূলের সিন্ডিকেট বাহিনী। প্রায় ৭০০ কুইন্ট্যাল কলাই হয়েছিল জমিতে। করিম শেখ বলছেন, “১৮ বিঘে জমিতে চাষ করেছি। ৭ বিঘে জমি ধরে মাত্র ১৪ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।”আনারুল শেখ বলছেন, “আমরাও তৃণমূল করি। তাই দলের নেতাদের কাছে বিচার চেয়েছি।’’