তৃণমূল নেতা তহিরুদ্দিনের ভাই মন্টু শেখও আহত। ছবি: ইন্দ্রাশিস বাগচী।
জাতীয় নাগরিক পঞ্জি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিরোধিতা করতে সীমান্তের ছোট্ট গঞ্জ জলঙ্গির সাহেবনগর এলাকায় গড়ে উঠেছে ভারতীয় গণতান্ত্রিক নাগরিক মঞ্চ নামের একটি সংগঠন। এলাকার সিপিএম, কংগ্রেস এবং তৃণমূলের একাংশের নেতাকর্মী সহ সাধারণ মানুষের অনেকেও যোগ দেন ওই সংগঠনে। ভিড় বাড়তে থাকে তাঁদের সভা-সমিতি থেকে মিছিলে। মাসখানেকের মধ্যে তাঁদের পক্ষ থেকে চারটে মিছিল এবং একটি সমাবেশ হয়ে গিয়েছে এলাকায়, আর তাতে অন্য রাজনৈতিক দলের সভার চেয়ে অনেকটাই বেশি ভিড় হয়েছে বলে এলাকার মানুষের দাবি। নাগরিক মঞ্চের কর্তাদের দাবি, সাধারণ মানুষের এই ভিড়টাই তৃণমূলের স্থানীয় কিছু নেতার মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নাগরিক মঞ্চের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য মোহাম্মদ গোলাম রহমান বলছেন, ‘‘নাগরিক কমিটির উপরে বেশ কিছু দিন থেকেই ক্ষোভ জমছিল। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এ দিন।’’ তাঁদের দাবি, নাগরিক মঞ্চের অবরোধ তুলতে এসেছিলেন তৃমমূলের নেতারাই। শাসক দলের সেই ভূমিকা এলাকার মানুষ ভাল ভাবে নেননি। তাঁরা রুখে দাঁড়ান। ঘটনাস্থলের অনেক দূরে সালাউদ্দিনও সেই প্রতিবাদ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন।
তবে তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, তাঁদের পায়ের তলার জমি এখনও শক্তই রয়েছে। তাঁদের দাবি, সিপিএম এবং কংগ্রেস মিলে ষড়যন্ত্র করছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, গুলি কারা চালিয়েছে তা পুলিশ খুঁজে বার করুক। তহিরুদ্দিনের ভাইও গুলিতে জখম হয়েছেন। স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতীই পিস্তল থেকে গুলি ছুড়েছে বলে দাবি তাঁদের।