চলছে মাধ্যমরকের প্রস্তুতি।
জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এ বছর কমে গেল। গত বছরের তুলনায় এ বার ৮০১৯ জন কম পরীক্ষার্থী রয়েছে বলে ‘ওয়েষ্টবেঙ্গল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন’ সূত্রে জানানো হয়েছে। গত বছর পরীক্ষা দিয়েছিল ৬৯২৬১ জন। এ বার তা কমে হয়েছে ৬১২৪২ জন।
কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিক ভাবে ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীসংখ্যা বেড়ে চলেছে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শিক্ষকদের অনেকেই মনে করছেন, ছাত্রদের একটা বড় অংশ জীবিকার সন্ধানে স্কুলছুট হচ্ছে। অনেকেই কাজের জন্য ভিন রাজ্যে চলে যাচ্ছে। কিন্তু মেয়েরা বাড়িতে থাকছে ও স্কুলে যাচ্ছে।
মোট পরীক্ষার্থী কমার কারণ হিসাবে বোর্ডের নদিয়া জেলা অহ্বায়ক অনুপ ভদ্র বলছেন, "আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি যে, এর অন্যতম কারণ হল ইংরেজি মাধ্যমের প্রতি ঝোঁক। পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ এখন ইংরাজি মাধ্যম স্কুলে পড়ছে। তাই মাধ্যমিক বোর্ডের পরীক্ষায় পড়ুয়ার সংখ্যা কমছে।"
পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে ঢোকার ব্যাপারে প্রতিবারের মতো এ বারও কড়াকড়ি থাকছে। পরীক্ষার্থী, শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের কেউই মোবাইল ফোন নিয়ে ভিতরে ঢুকতে পারবে না। নিয়ে যাওয়া যাবে না ক্যালকুলেটর। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে মেডিক্যাল ক্যাম্প থাকবে। সেই সঙ্গে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকবে অ্যাম্বুল্যান্স ও মেডিক্যাল টিম। পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে যাতে কোনও সমস্যা না-হয় তার জন্য বাস মালিক সমিতির সঙ্গে জেলা প্রশাসন ও বোর্ডের প্রতিনিধিরা বৈঠক করেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, পরীক্ষার দিনগুলিতে বেশি সংখ্যায় বাস
চালানো হবে।
বাস মালিক সমিতির পক্ষে অসীম দত্ত বলেন, ‘‘পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনও রকম সমস্যা না-হয় সে দিকে আমাদের নজর থাকবে।’’