চলছে প্রস্তুতি। বহরমপুরের একটি স্কুলে।—নিজস্ব চিত্র।
মাধ্যমিক পরীক্ষায় জেলায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ক্রমশ কমছে। গত তিন বছরের মুর্শিদাবাদের শিক্ষা দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে— ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯’এ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কমেছিল, এ বার গত বছরের তুলনায় ৪ হাজার ৯৩ জন পরীক্ষার্থী কমেছে। আগের বছরের অকৃতকার্য (সিসি), এবং বিশেষ বিভাগে অকৃতকার্য (কমপার্টমেন্টাল) পরীক্ষার্থীর কৃতকার্য হওয়ার কারণে তাদের সংখ্যা বছর বছর কমছে। যার জেরে সার্বিকভাবে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে, এমনই ব্যাখ্যা শিক্ষা দফতরের।
জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে ২০১৮ সালে মুর্শিদাবাদে মোট মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিল ৮৬ হাজার ৩৩৩ জন। পরের বছর মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী কমে দাঁড়ায় ৮২ হাজার ২২৮ জন। এ বছর সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৭৮ হাজার ১৩৫ জন। গত বছরের তুলনায় ৪ হাজার ৯৩ হাজার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কমেছে। ছাত্র কমেছে ১৮৭৮ জন এবং ছাত্রী কমেছে ২২১৫ জন। মুর্শিদাবাদের সহকারি স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক শিক্ষা) খোন্দেকার আশরাফুল সামিম বলছেন, ‘‘আগের থেকে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থী সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। যার প্রভাব পড়েছে মোট পরীক্ষার্থীর উপরে।’’
বহরমপুর শহর ও শহর লাগোয়া এলাকায় যানজটের সমস্যা দীর্ঘদিনের। যানজটের জেরে প্রায় প্রতিদিনই গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হয়ে যায়। মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় যানজট একই থাকলে পড়ুয়াদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে সমস্যায় দেখা দিতে পারে। এ জন্য অভিভাবকরাও যানজটে নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। গত ১২ ফেব্রয়ারি রাজ্যের মুখ্যসচিব ভিডিয়ো কনফরেন্স করে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে মাধ্যমিক পরীক্ষা নির্বিঘ্নে করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেন।