পথে প্রতিবাদ। নিজস্ব চিত্র
প্রতিবাদটা দানা বেঁধেছিল জঙ্গিপুর এলাকায় কিন্তু শুক্রবার সকাল থেকে সেটা জেলার সামগ্রিক চেহারা হয়ে ওঠে। বহরমপুর থেকে ডোমকল বেলডাঙা রেলস্টেশন থেকে লালবাগ, বড়ঞা থেকে ফরাক্কা— জেলার আনাচকানাচ জুড়ে শুধু মিছিল, অবরোধ আর টায়ার পোড়ার গন্ধ।
বহরমপুরের উত্তরপাড়া থেকে নাগরিকত্ব বিল বিরোধী যে মিছিল অচল করেছিল পথ তার রেশ ধরে ধরে রাখল ভাকুড়ির বিক্ষোভ। পরে বহরমপুর বাসস্ট্যান্ড জুড়ে তারই জের ছড়িয়ে রইল সন্ধে পর্যন্ত। পরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে সাইকেলের টায়ার জ্বালিয়ে চলল অবরোধ। যার ফলে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে যানজট ছড়াল রাত পর্যন্ত। বিকেলে বিক্ষোভের আগুন জ্বলল বেলডাঙা রেলস্টেশনে। ভাঙচুরের পাশাপাশি স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম জুড়ে চলল হট্টগোল। ফলে ট্রেন চলাচল থমকে গেল ওই রেলপথে।
শহর থেকে গ্রাম, মেঠো পথ থেকে রাজপথ— শুক্রবার জুম্মার নমাজের পর থেকে এনআরসি আর সিএবি’র বিরুদ্ধে উত্তাল হল ডোমকল। কোথাও কুশপুতুল দাহ, কোথাও অবরোধ, কোথাও আবার বিক্ষোভ মিছিলে পা মেলাল জনতা। এ দিন বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে এবং শহরে জড়ো হতে থাকেন মানুষ। বিভিন্ন সংগঠন আন্দোলনের সামনে থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্থানীয় মানুষ অরাজনৈতিক ভাবে আন্দোলনে নেমেছেন। তবে, পুলিশ জানিয়েছে নির্দিষ্টভাবে অনুমতি নিয়েই সভা মিছিল মিটিং হয়েছে।
কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এ দিন দুপুরে ডোমকলের গরিবপুর এলাকার গঙ্গাধারী ব্রিজে গরিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়। এনআরসি ক্যাবের প্রতিবাদে প্রায় ঘন্টা দুয়েক অবরুদ্ধ থাকে ডোমকল ও হরিহরপাড়া সংযোগকারী এলাকার ওই সেতু। এর ফলে করিমপুর-বহরমপুর ওই সড়কে যানবাহন আটকে পড়ে।
কান্দির বড়ঞা এলাকাতেও সমস্যায় পড়তে হয় নিত্যযাত্রীদের। অন্যদিকে ডোমকল শহরে কোনও অবরোধ কর্মসূচি না থাকলেও একাধিক মিছিলের ফলে প্রায় অবরুদ্ধ হয়ে পরে রাজপথ। প্রায় নির্বিঘ্ন কান্দি ব্লকের বড়ঞাতেও এ দিন দিনভর দফায় দফায় চলে অবরোধ।