প্রতীকী ছবি
আমপানে ক্ষতবিক্ষত জেলায় একশো দিনের কাজে এ বার জায়গা করে নিল বৃক্ষরোপণ। আর, একটি গাছ একটি প্রাণের সেই চেনা স্লোগানে সেই গাছ লাগানোর কাজে অগ্রাধিকার পাবেন ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকেরা। শুধু গাছ লাগানোই নয়, ভিন রাজ্য ফেরত শ্রমিকদের কাজের সুযোগ দিতে মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন, সদ্য লাগানো সেই চারা গাছের দেখভালের জন্যও নিযুক্ত করছেন পরিযায়ীদের।
একশো দিনের কাজে ব্যক্তি উপভোক্তা প্রকল্পে যেমন উপভোক্তার জমিতে সেই গাছ নিখরচায় গাছ লাগিয়ে দেবেন তাঁরা। সরকারি জমিতে গাছ লাগিয়ে তা দেখভালের জন্য পাট্টা দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এ জন্য এক থেকে তিন বছর পর্যন্ত পাট্টাদারকে গাছ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মাসে ও বছরে ১০০ দিন করে কাজ দেওয়া হবে, তেমনই গাছের ফল বা কাঠের ৭৫ শতাংশ পাট্টাদার পাবেন তাঁরা। বাকি ২৫ শতাংশ পঞ্চায়েতের ঘরে জমা পড়বে। ব্যক্তি উপভোক্তা প্রকল্পে বছরে ৮২ দিনের কাজ পাবেন উপভোক্তা এবং ওই গাছ ও ফল ভোগ করবেন তাঁরা। ‘বৃক্ষরোপন’ সপ্তাহ শুরু হচ্ছে আগামী ৮ জুন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় প্রায় ৫০০কিলোমিটার রাস্তার ধারে এই প্রকল্পে গাছ লাগিয়ে পাট্টা দেওয়া হবে। ওই গাছ প্রায় ৮ হাজার জনকে পাট্টা দেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রায় ৩৭ হাজার ৫০০ জনকে ব্যক্তি উপভোক্তা প্রকল্পে ১৫০টি করে গাছ লাগিয়ে দেওয়া হবে।
মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) সুদীপ্ত পড়েল বলেন, ‘‘গাছ লাগানোর পরে তা রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য যেমন পাট্টা দেওয়া হবে, ব্যক্তি উপভোক্তা প্রকল্প উপভোক্তার জমিতে গাছ লাগিয়ে দেওয়া হবে। এতে গাছ বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি। এ বছর জেলায় ২৫ লক্ষ গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় যেমন ফলের গাছ লাগানো হবে, তেমনই বনাঞ্চল তৈরির জন্য গাছ লাগানো হবে। মূলত ফলের গাছ লাগানর কথাই ভাবছে প্রশাসন। সরকারি জমি বা রাস্তার ধারে গাছ লাগিয়ে তা জবকার্ড হোল্ডারদের পাট্টা দেওয়া হবে। ২৫ লক্ষের অর্ধেক গাছ এ বারে পাট্টা প্রকল্পে এবং অর্ধেক গাছ ব্যক্তি উপভোক্তা প্রকল্পে লাগানো হবে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘বৃক্ষ পাট্টা বা ব্যক্তি উপভোক্তা প্রকল্পে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে বেশ কয়েক বছর থেকে বিভিন্ন সময়ে গাছ লাগানো হয়। তবে এবার বিপুল সংখ্যক গাছ লাগিয়ে পাট্টা দেওয়ার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এ কাজে পরিযায়ী শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’’