শিল্পের দিক থেকে অন্যান্য বেশ কিছু জেলার মতো পিছিয়ে রয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলাও। এই জেলার অনেক মানুষই জীবিকার জন্য বিড়ি শিল্পকে বেছে নিয়েছেন। মুর্শিদাবাদ জেলায় মোট ১২ লক্ষ বিড়ি শ্রমিক থাকলেও তাদের বেশির ভাগই মহিলা। শুধুমাত্র জঙ্গিপুরেই বিড়ি শ্রমিকের সংখ্যা সাত লক্ষের বেশি।
জঙ্গিপুরের ঔরঙ্গাবাদ, সুতি এইসব জায়গায় বিড়িকে ঘিরে কুটীর শিল্প গড়ে উঠেছে। তবে অন্যান্য বহু কুটির শিল্পের মতোই কোভিড আবহের আঁচ প়ড়ে বিড়ি শিল্পেও। অনেকদিনই বন্ধ ছিল বিড়ি বাঁধার কাজ। বিড়ি শ্রমিকদের বেশির ভাগই অদক্ষ মজুর হওয়ায় তারা রুজি রোজগারের জন্য এই শিল্পের উপরই নির্ভরশীল। কোভিডকালে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এই শ্রমিকদের।
এমনিতেই বিড়ি শ্রমিকরা সরকারি ন্যূনতম মজুরি পান না। তার মধ্যে আবার জিএসটি কার্যকর হয়ে দাম বাড়ার পরে বিক্রি কমে বিড়ির।
জঙ্গিপুর বিড়ি শিল্প থেকে প্রাপ্ত প্রচুর পরিমাণ জিএসটি-তে কেন্দ্র-রাজ্য দুই পক্ষই লাভবান হলেও খুব একটা অবস্থার উন্নতি হয়নি এই মানুষগুলোর।