প্রশংসিত দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার সন্তোষ নিম্বালকর। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ
রাতের বেলা অস্ত্রোপচারের টেবিলে রক্তের প্রয়োজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলার। রক্ত দিতে এগিয়ে এলেন পুলিশ সুপার। আবার জনসমক্ষে উঠে এল পুলিশের মানবিক মুখ।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাত ৯টা ৩০ মিনিট নাগাদ দার্জিলিং-এর স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে একজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলার প্রসবের জন্য অস্ত্রোপচার চলছিল। বেশি রক্তক্ষরণের ফলে ওই মহিলার তৎক্ষণাৎ বি-নেগেটিভ রক্তের প্রয়োজন হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন চিকিৎসকেরা। দার্জিলিঙে অপেক্ষাকৃত বিরল ওই গ্রুপের রক্ত মজুত ছিল না। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানতে পারেন যে, দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার সন্তোষ নিম্বালকরের রক্ত ওই একই গ্রুপের। তাই তাঁকে ফোন করার সিদ্ধান্ত নেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সন্তোষ সেই সময় নৈশাহার সারছিলেন। ঠিক এই সময় হাসপাতাল থেকে তাঁর কাছে পুরো বিষয়টি জানিয়ে একটি ফোন করা হয়। সন্তোষ অবিলম্বে হাসপাতালে যান এবং কর্মীরা দ্রুত রক্ত নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। সন্তোষে এই পদক্ষেপের প্রশংসায় পঞ্চমুখ চিকিৎসক এবং মহিলার পরিবারের সদস্যরা।
সন্তোষ বলেন, “আমি রক্তের মূল্য জানি। এই বি-নেগেটিভ রক্ত খুব বিরল। এই গ্রুপের রক্তের জোগান কম। তাই আমি নিজেই রক্ত দিতে এসেছি। এটা আমার কর্তব্য এবং এর চেয়ে বেশি কিছু নয়।”
জেলার পুলিশ প্রধানের এমন আচরণের প্রশংসা করেছে সবাই। চিকিৎসক দাওয়া চিরিং ভুটিয়া বলেন, “যেহেতু আমাদের জরুরিভিত্তিতে সিজার করতে বলা হয়েছিল, তাই নিয়ম অনুযায়ী রক্তের ব্যবস্থা রাখতে হত। আমরা জানতাম রক্তের এই গ্রুপ বিরল এবং শিলিগুড়ি যেতে হলে ৩ ঘণ্টা সময় লাগবে। আমরা জানতাম যে এসপির রক্ত একই গ্রুপের।”
যে মুহুর্তে তাঁরা পুলিশ সুপারকে বিষয়টি জানান, তিনি অবিলম্বে আসেন অবং স্বেচ্ছায় রক্তদানের রাজি হন বলেও তিনি জানান।