মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা হবে বহরমপুরে। —ফাইল চিত্র।
আগামী ৩১ জানুয়ারি বহরমপুরে আসছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন বেলা তিনটের সময় বহরমপুর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করবেন। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী নানা সরকারি সুযোগ-সুবিধা, পরিষেবা জেলার উপভোক্তাদের হাতে তুলে দেবেন। দু’দিন আগে মৌখিক ভাবে বিষয়টি জানতে পারার পরেই ঘুম ছুটেছিল মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের। শনিবার সকাল থেকে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। এ দিন দুপুরে বহরমপুর স্টেডিয়ামে জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র, মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব, পুলিশ ও প্রশাসন, স্বাস্থ্য দফতর, পূর্ত দফতর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। বৈঠক শেষে জেলাশাসক বহরমপুর স্টেডিয়ামের সভাস্থল, হেলিপ্যাড, যানবাহন রাখার জায়গা ঘুরে দেখেন। কোথায় সভামঞ্চ হবে, কোথায় লোকজন বসবেন, কোথায় যানবাহন রাখা হবে, সে সব অন্য আধিকারিকদের নিয়ে তিনি ঘুরে দেখেন।প্রশাসন সূত্রের খবর, আগামী বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মালদহ থেকে বহরমপুর স্টেডিয়ামে আসবেন। বহরমপুর স্টেডিয়ামে প্রশাসনিক সভা শেষে পড়শি জেলা নদিয়ায় হেলিকপ্টারে করে তাঁর যাওয়ার কথা। তবে প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি কী কী হবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। আবার ৩১ জানুয়ারির কর্মসূচি শেষে বহরমপুরে তিনি থাকবেন কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়।’’
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী কোনও কিছু জানতে চাইলে সঙ্গে সঙ্গে যাতে আধিকারিকরা তার উত্তর দিতে পারেন, সে বিষয়েও সকলে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। শনিবার সকাল থেকে বহরমপুর স্টেডিয়াম চত্বরে থাকা জঙ্গল কেটে পরিষ্কার করার কাজ শুরু হয়েছে। মাটি কাটার যন্ত্র, রোলার দিয়ে মাটি কেটে সমান করার কাজ যেমন চলছে, তেমনই এ দিন বিকেল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সভার এবং সভামঞ্চের প্যান্ডেলের জিনিসপত্র আনা শুরু হয়েছে। এ দিন সকাল থেকে স্টেডিয়ামে ঘন ঘন আসতে দেখা গিয়েছে জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের। জেলা প্রশাসনের অন্য কর্তারাও তাঁদের দফতরের কাজকর্ম কেমন হয়েছে, কত কাজ হয়েছে, কত কাজ বাকি রয়েছে, সেগুলি সম্পর্কে বিশদে খোঁজ নিচ্ছেন এবং সেই।কোন কোন প্রকল্পের উদ্বোধন হবে, কোন প্রকল্পের শিলান্যাস হবে, কাদের কী পরিষেবা দেওয়া হবে, সে সব তৈরির কাজ চলছে জেলা পরিকল্পনা দফতরে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী দাঁড় করিয়ে প্রশ্ন করেন। উত্তর দিতে না পারলে মান থাকবে না।’