Theft

থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে সোনার দোকানে ৬০ লক্ষ টাকার গয়না ডাকাতি! মুর্শিদাবাদে তদন্তে পুলিশ

ভরতপুরের এই সোনার দোকান থেকে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকার সোনার গয়না চুরি গিয়েছে বলে দাবি করেছেন দোকানের মালিক সাবিনা ইয়াসমিন। দ্রুত তদন্ত শেষ করে দোষীদের ধরা হবে বলে আশ্বাস পুলিশের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ভরতপুর শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:০৫
Share:

সোনার দোকানের লকার ভেঙে লুট সর্বস্ব। — নিজস্ব চিত্র।

থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে গয়নার দোকানের শাটার ভেঙে ৬০ লক্ষ টাকার সোনার গয়নাগাটি নিয়ে চম্পট ডাকাতদলের। মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে পুলিশের সক্রিয়তা নিয়েই। এমন ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন ওই এলাকার অন্য গয়নার ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

ভরতপুর থানা থেকে মেরেকেটে ৫০ মিটার। তার মধ্যেই মা, ছেলে মিলে সোনার দোকান চালান। সেখানেই চুরির ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শহর। স্থানীয় সূত্রে খবর, সকালে বন্ধ দোকানের শাটারের কিছুটা অংশ খোলা এবং বাইরে গয়নার বাক্স ছড়িয়েছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় কয়েক জনের সন্দেহ হয়। তাঁরা খবর দেন দোকানের মালিক সাবিনা ইয়াসমিনকে। ছেলেকে নিয়ে ছুটে আসেন সাবিনা। দোকানের ভিতরে ঢুকে দেখেন, লকার ভাঙা, লন্ডভন্ড অবস্থা সোনার গয়নার দোকানের। মালপত্র সব ফাঁকা। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘‘সকালে আমি কাজের জন্য বাড়ি থেকে বেড়িয়েছিলাম। দেখি, এই সোনার দোকানের শাটার অল্প খোলা। দোকানের কিছু জিনিসপত্র বাইরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। আর দোকানের ভেতর লাইট জ্বলছে। বুঝতে পারি, কিছু একটা ঘটেছে। সঙ্গে সঙ্গে দোকানের মালিককে জানাই। ওঁরা এসে দোকান খোলামাত্রই চোখে পড়ে, সব শেষ! চোরেরা সব নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে।’’

ভরতপুরের এই সোনার দোকান থেকে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকার সোনার গয়না চুরি গিয়েছে বলে দাবি করেছেন দোকানের মালিক সাবিনা। সাবিনা বলেন, “সমস্ত সোনার গয়না চুরি গিয়েছে। এই এলাকায় যে আমার একার দোকান তা-ও না। আমার দোকান থেকে ৫০ মিটার দূরেই ভরতপুর থানা। আমার প্রায় ৬০ লক্ষ টাকার জিনিস চুরি গিয়েছে। কী করব বুঝতে পারছি না।”

Advertisement

থানা থেকে ঢিল ছড়া দূরত্বে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা প্রসঙ্গে কান্দি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শাশরেক অম্বেডকর বলেন, ‘‘ওই এলাকায় নিয়মিত আরটি ভ্যানের টহল থাকে। এ ছাড়াও থানা এলাকা হওয়ায় বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থাও রয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৮০ ধারায় মামলার রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। আশা করছি, অতি দ্রুত তদন্তের নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement