প্রতীকী ছবি।
ডোমকল-জলঙ্গির গ্রামে এনআইএ-এর জালে জঙ্গি সন্দেহে ধৃতদের কয়েক জন ঘটনাচক্রে পরিযায়ী শ্রমিক হওয়ায় তাঁদের পরিচয়ের উপরে প্রশ্নের ছায়া পড়ে গিয়েছে। আনলক পর্বে রুজির টানে তাঁরা ভিন রাজ্যে পাড়ি দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করলেও বহু জায়গাতেই ‘ঠিকানা মুর্শিদাবাদ’ শুনেই দাবি করা হচ্ছে শংসাপত্র। এই পরিস্থিতিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের লোকজন তাঁদের সচিত্র পরিচয়পত্র দেওয়ার দাবি তুললেন। এ ব্যাপারে বুধবার লালগোলার বিডিও থেকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, জেলাশাসকের কাছে বেশ কিছু আবেদন জমা পড়েছে বলেও জানা গিয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা বহরমপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকেও মঙ্গলবার জেলাশাসকের কাছে একই আবেদন জানানো হয়েছে।
জঙ্গি কার্যকলাপে মুর্শিদাবাদের নাম জড়াতে লালগোলা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গির মিঞা একাধিক পরিযায়ী শ্রমিককে শংসাপত্র দিয়েছেন। এ দিন জাহাঙ্গির বলেন, ‘‘শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষমতা থাকলেও সচিত্র পরিচয়পত্র দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই। তাই ওঁদের সচিত্র পরিচয়পত্রের আবেদন জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে। ওঁরা পরিচয়পত্র দিলে ভাল হয়।’’ লালগোলার বিডিও শামসুজ্জামান বাসিন্দাদের আবেদনপত্র ইতিমধ্যেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, ‘‘ওঁদের আবেদন খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। এ বিষয়ে শ্রম দফতরের সঙ্গে কথা বলব।’’ মুর্শিদাবাদের কয়েক লক্ষ শ্রমিক ভিন দেশে ও ভিন রাজ্যে কাজ করেন। তার পরিসংখ্যান অবশ্য জেলা প্রশাসনের কাছে নেই। লালগোলার মল্লিকপুরের লুৎফা বিবির এক ছেলে হায়দরাবাদ ও এক ছেলে ঝাড়খণ্ডে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘‘সচিত্র পরিচয়পত্র না থাকায় ভিন রাজ্যে পরিচয় দিতে গিয়ে সমস্যা হয়। তাই আমরা পরিচয়পত্রের দাবি জানিয়েছি।’’ পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা বহরমপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও পরিযায়ী শ্রমিকদের সচিত্র পরিচয়পত্র দেওয়ার দাবিতে জেলাশাসকের দফতরে আবেদন জানিয়েছে। ওই সংস্থার সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, ‘‘পরিযায়ী শ্রমিকরা অনেক সময় পরিচয় দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন। সেই কারণেই সচিত্র পরিচয়পত্রের আবেদন করা।’’