গাছে চড়ছেন সেন্টু। নিজস্ব চিত্র
লকডাউনের কারণে কাজ বন্ধ থাকায় পরিযায়ী শ্রমিকদের অনেককেই কেরল থেকে ফিরতে হয়েছে ঘরে। কিন্তু ঘরে ফিরেও নেই কাজ। সেন্টু শেখ নামে ঘরে ফেরা এক পরিযায়ী শ্রমিকের ভরসা কেরল থেকে নিয়ে আসা নারিকেল গাছে ওঠার যন্ত্র। এই যন্ত্রের উপর ভর করেই দিনে দু-আড়াইশো টাকা রোজগার করছেন তিনি। হরিহরপাড়ার মাদারতলা গ্রামের সেন্টু প্রায় দশ বছর যাবৎ কেরলে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। প্রথমে রাজমিস্ত্রির যোগাড়ে ও পরে রাজমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করে দিনে ৬০০-৭০০ টাকা রোজগার করতেন তিনি।
কেরলে কাজের ফাঁকেই তিনি লক্ষ্য করতেন কিভাবে যন্ত্রের ব্যবহার করে অনায়সেই নারিকেল গাছে উঠে নারিকেল পাড়ে। লকডাউনের কারণে বন্ধ হয়ে যায় কাজ। তখনই স্থানীয় পরিচিত এক দোকান থেকে তিন হাজার টাকা দিয়ে গাছে ওঠার যন্ত্র কেনেন তিনি।
ঘরে ফিরে এলাকায় মেলেনি অন্য কাজ। তা ছাড়া, দীর্ঘ দিন খেতের কাজ না করার ফলে খেতের কাজে অনভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। দুই ছেলে, মেয়ে এবং স্ত্রী নিয়ে সংসার তাঁর। সংসারের হাল ফেরাতে এখন সেন্টুর ভরসা কেরল থেকে নিয়ে আসা নারিকেল গাছে ওঠার যন্ত্র। সকাল হলেই সাইকেলের পেছনে যন্ত্র বেঁধে বেরিয়ে পড়ছেন তিনি। ডাব কেটে নিয়ে এসে বাজারে বিক্রি করছেন।