জমে উঠেছে ইদ ও চৈত্র সেলের বাজার। করিমপুরে। নিজস্ব চিত্র।
বাড়ছে গরমের তাপ। পাশাপাশি একদিকে চৈত্র সেল আর অন্যদিকে ঈদ— এই জুটিতে বাজারও বেশ গরম। ভরদুপুরেও দোকানে ক্রেতা বিক্রেতাদের ভিড়, জমে উঠেছে চৈত্র সেল ও ঈদের বাজার। ব্যবসায়ী মহলেও খুশির ঝিলিক।
পাটের দাম কম থাকার কারণে শারদ উৎসবের কেনাকাটায় বেশ খানিকটা ঘাটতি ছিল। যদিও কিছুদিন আগে প্রায় ৩০০ টাকা পাটের সরকারি সহায়ক মূল্যবৃদ্ধিতে ফের বাজারে বিক্রি বাড়ার আশা করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। তাৎক্ষণিকভাবে বিক্রি না বাড়লেও দিন কয়েক আগে থেকে চৈত্র সেল ও ঈদের বাজার জমে উঠেছে। করিমপুর বাজারের এক বস্ত্র ব্যবসায়ী বিমান মণ্ডল বলছেন, ‘‘সকাল থেকেই ক্রেতারা দোকানে ভিড় করছেন। রাত বারোটা বেজে যাচ্ছে দোকান বন্ধ করতে। আশা করি পুজোর ঘাটতি অনেকটাই মিটবে।’’
শুধু জামাকাপড়, জুতোর দোকান নয়। ক্রেতাদের আনাগোনায় খাবারের দোকানেও বিক্রি বেড়েছে। করিমপুর নিয়ন্ত্রিত বাজার চত্বরে বুধবারের কাপড়ের বাজারে ফাস্টফুডের মতো খাবারের দোকান দিয়েছিলেন সুব্রত বিশ্বাস। তিনি বলেন, "দিন কয়েকের মধ্যে বিশেষ করে আজ বেশ ভালই বিক্রি হয়েছে। পয়লা বৈশাখের আগে পর্যন্ত এমন চলতে থাকলে সারা বছরের আর্থিক ঘাটতি অনেকটাই মিটে যাবে।" নতিডাঙা গ্রামের জেসমিনা বিশ্বাস বলেন, "কয়েক দিন থেকে আমাদের এলাকার বাজারগুলিতে ভালই ভিড় হচ্ছে। সামনে ঈদ। বাজারে এসে দেখি ক্রেতাদের অসম্ভব ভিড়। তার মধ্যেই কেনাকাটা সারতে হল।’’