— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস রুখতে এর আগের বছরগুলিতে একাধিক পদক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে। এ বারে আরও এক ধাপ এগিয়ে প্রতিটি প্রশ্নপত্রে কোড নম্বর দেওয়া হবে। কোন পরীক্ষার্থীর কাছে কোন প্রশ্নপত্র যাবে তা জানা যাবে। সেই সঙ্গে কেউ প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে বাইরে পাঠালে সহজেই ধরা পড়ে যাবে কোন প্রশ্নপত্রের ছবি সেটা।
বুধবার বহরমপুর রবীন্দ্রসদনে মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রের সম্পাদক ও অফিসার ইনচার্জদের সঙ্গে বৈঠকে সে কথা জানিয়েছেন মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। পরীক্ষা পরিদর্শকদের এ বিষয়ে সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে কোনও বিদ্যালয়ে পাঁচিল না থাকলে সেখানে পরীক্ষা কেন্দ্র হবে না। বিদ্যালয়ে সিসিটিভি না থাকলে বা বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তা যদি প্রশস্ত না হয় তাহলে সেখানে পরীক্ষা কেন্দ্র করা হবে না বলেও রামানুজ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি পরিদর্শন করে কোনও সমস্যা থাকলে তা মিটিয়ে ফেলা হবে বলেও জানিয়েছেন।
এ দিনের বৈঠকে রামানুজ ছাড়াও জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) অমরকুমার শীল, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) অপর্ণা মণ্ডল, মাধ্যমিক পরীক্ষার জেলা আহ্বায়ক ইন্দ্রনীল চক্রবর্তী সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। রবীন্দ্রসদনের বৈঠক শেষে রামানুজ জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। জেলা প্রশাসনিক ভবনের ওই বৈঠকে জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র সহ পুলিশ প্রশাসনের অন্য আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বারে মুর্শিদাবাদ জেলায় মোট ১৫৩ টি পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। তার মধ্যে ৭৭টি মূল পরীক্ষা কেন্দ্র।
এদিন রামাজুন বলেন, ‘‘পরীক্ষা ব্যবস্থাকে সুদৃঢ় করার জন্য যেগুলি করা দরকার, সেটা সব পর্যায়ের করা হবে। আমরা গত বছর প্রচুর পরিবর্তন (মডিফিকেশন) করেছি। সেগুলি ইতিমধ্যে প্রয়োগ করা আছে। এ বছর প্রশ্নপত্রে একটা কোড নম্বর দিচ্ছি, সেটা কার্যকর করার জন্য পরীক্ষা পরিদর্শক (ইনভিজিলেটরদের) আরও সজাগ হতে বলেছি। পরিদর্শকদের বলেছি উপস্থিতির সই করানোর সময় নম্বরটা লিখে রাখতে।’’ এবারে নতুন কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে? রাজানুজের দাবি, ‘‘প্রশ্নপত্রে কোড নম্বর যুক্ত করা, দ্বিতীয় যদি প্রশ্নের প্রয়োজনে গ্রাফ লাগে তবে তা প্রশ্নপত্রের সঙ্গে বিলি করা হবে। প্রশ্নের প্যাকেটের মধ্যে গ্রাফ থাকবে।’’
রামানুজের দাবি, ‘‘একটা চক্রান্ত থাকে সব সময় সংশয় তৈরি করার। সংশয় তৈরি করা হয়, বুঝি ব্যবস্থাটা ঠিক মতো চলছে না। সামগ্রিক ভাবে যে ব্যবস্থা চলছে আমরা দেখছি দু’চারটে বিচ্যুতির ঘটনা। দু’চারটে বিচ্যুতিকে আটকানো আমাদের মূল জায়গা। কেউ কিন্তু ঠিক ভাবে কাজ করলে তাকে স্বীকৃতি দেয় না। একটা জায়গায় বিচ্যুতি হলে প্রচারিত হয়। আমাদের কোনও ত্রুটি যাতে না হয়, সেটা দেখা। তার জন্য ব্যবস্থা করেছি। এমারজেন্সি রেসপন্স টিম করেছি।’’