—প্রতীকী চিত্র।
মেলা দেখার নাম করে ফোনে কেউ এক জন ডেকেছিলেন। কে ডেকেছিলেন, ঠিক করে জানেন না বাড়ির লোকজন। কিন্তু, তার পর থেকে যুবকের খোঁজ মিলছিল না। খোঁজ যখন মিলল, তখন তিনি মৃত। জন্মদিনেই যুবকের নলি কাটা দেহ উদ্ধার হল নদিয়ার তেহট্ট থানার কড়ুইগাছি-বলরামপুর রাস্তার মাঝামাঝি একটি আমবাগানের মধ্যে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম ২১ বছরের সুমন্ত মণ্ডল। সুমন্তের বাড়ি পলাশীপাড়া থানার সাহেবনগরের উত্তরপাড়া এলাকায়। শুক্রবার বাগানের মধ্যে দিয়ে মাঠে কাজ করতে যাওয়ার সময় কয়েক জন ওই যুবকের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন রাস্তায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে দেহ উদ্ধার করেছে।
সুমন্তর মায়ের কথায়, ‘‘কিছু দিন ধরে একটি মেয়ের সঙ্গে ছেলের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। মেয়েটির সঙ্গে ওর পরিচয়ের কথা বাড়িতেও অনেক বার বলেছে।’’ ওই মহিলার দাবি, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে তাঁর ছেলের বান্ধবীর জামাইবাবু ফোন করে ছেলেকে মেলা দেখার জন্য ডেকে নেওয়ার পর ঘণ্টা দুয়েক পরে সুমন্তের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। তার পর থেকে ছেলের সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ হয়নি। তার পর শুক্রবার বেলার দিকে ছেলের মৃত্যুর খবর পান তাঁরা। সুমন্তের মায়ের অভিযোগ, ‘‘ছেলের বান্ধবীর জামাইবাবুই ওকে নৃশংস ভাবে খুন করেছে।’’
পুলিশ সূত্রেও জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ সুমন্তকে কেউ ফোন করে ডেকে নিয়ে যান। তার পর থেকে তাঁর আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না বলে পরিবার দাবি করেছে। রাতেও বাড়ি না ফেরায় আত্মীয়-পরিজন এবং প্রতিবেশীরা সুমন্তের খোঁজ শুরু করেন। কিন্তু কোথাও পাওয়া যায়নি সুমন্তকে। ইতিমধ্যে রহস্যমৃত্যুর তদন্ত শুরু হয়েছে। তেহট্ট থানার পুলিশ সুমন্তের মোবাইল উদ্ধার করেছে। কল লিস্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই ঘটনা প্রসঙ্গে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শুভতোষ সরকার বলেন, ‘‘পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। কী ভাবে যুবকের মৃত্যু হল এবং মৃত্যুর কারণ জানার চেষ্টা চলছে।’’