— প্রতীকী চিত্র।
পরিচিতের সূত্র ধরে জেনেছিলেন, কিছু নথি দিলেই নাকি এক যুবক যে কোনও বয়সি মহিলাকেই ‘কন্যাশ্রী’র টাকা পাইয়ে দেন। রাজ্য সরকারের করা ছাত্রীদের জন্য করা প্রকল্পের টাকা পেয়েও গিয়েছিলেন এক বিবাহিত মহিলা। কিন্তু ভাতায় পাওয়া ২৫ হাজার টাকার মধ্যে ২০ হাজার টাকাই দাবি করলেন ‘দালাল’। আর সেই টাকা আনতে গিয়ে আটক হলেন তিনি। শুক্রবার এমনই ঘটনায় হইচই মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার নেতাজি মোড় এলাকায়। অভিযুক্ত যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ওই বিবাহিতাকেও।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ‘কাটমানি’ নিতে গিয়ে জামিরুদ্দিন নামে এক যুবক ধরা পড়েছেন। তাঁকে ঘিরে ধরেছিল উত্তেজিত জনতা। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগকারিণীর নাম জোৎস্না বিবি। তিনি রানিতলা থানার বিডিও পাড়া এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্তের বাড়ি ভগবানগোলার কুঠিরামপুর পঞ্চায়েতের গোবরা গ্রামে। পুলিশকে জোৎস্না জানিয়েছেন, তিনি এক আত্মীয়ের মাধ্যমে জানতে পারেন জামিরুউদ্দিন নামে এক যুবক কিছু টাকার বিনিময়ে কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা পাইয়ে দিচ্ছেন। তাই তিনি ওই যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্ত নথি দেন এবং কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকাও পেয়ে যান। কিন্তু অভিযুক্ত পরে দাবি করেন ২৫ হাজার টাকার মধ্যে ২০ হাজার টাকাই তাঁকে দিতে হবে। নয়তো কোনও নথি তিনি ফেরত দেবেন না। জ্যোৎস্নার দাবি, শুক্রবার ওই টাকা নিতেই তাঁর কাছে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত। তখন স্থানীয়েরা তাঁকে ঘেরাও করেন। খবর দেওয়া হয় থানায়।
ভগবানগোলা থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। দুই পক্ষকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৪ অগস্ট 'কন্যাশ্রী দিবস' পালন করে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই প্রকল্পের আওতায় আসতে গেলে একটি মেয়েকে অষ্টম শ্রেণিতে পড়তে হবে। বার্ষিক এক হাজার টাকা এবং এককালীন ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয় এই প্রকল্পের আওতাধীন পড়ুয়াদের। ২০১৭ সালের জুন মাসে, ইউনাইটেড নেশনস তাদের সর্বোচ্চ জনসেবা পুরস্কারে সম্মানিত করে কন্যাশ্রী প্রকল্পকে। ৬২টি দেশের মধ্যে ৫৫২টি সমাজ কল্যাণকর প্রকল্পের মধ্যে সেরা পুরস্কার পায় কন্যাশ্রী।