—প্রতীকী চিত্র।
মোবাইল চোর সন্দেহে এক কিশোরকে গণপিটুনির অভিযোগ উঠল। রবিবার সকালে বহরমপুর শহরের প্রাঙ্গণ মার্কেটের কাছের ঘটনা। বছর পনেরোর ওই কিশোরের হাত পা বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে উত্তেজিত জনতার বিরুদ্ধে। ঘটনার খবর পেয়ে বহরমপুর থানার পুলিশ ওই কিশোরকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
মাস দেড়েক আগে গণপিটুনি রোধে রাজ্য বিধানসভায় বিল পাশ হয়েছে। আর তার কয়েক দিনের মধ্যে বহরমপুর শহরের লালদিঘির পাড়ে শহরের একটি ওষুধের দোকানে ডাক্তারে চেম্বারে গণপিটুনির ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, ওই দোকানের কর্মী ও কিছু উত্তেজিত লোকজন বহরমপুরের মুকুন্দপুরের খাবির শেখ নামে এক যুবকের হাত পা বেঁধে বেধড়ক পেটালে ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়।
সেই ঘটনা নিয়ে রাজ্য জুড়ে কম হইচই হয়নি। কিন্তু তা সত্ত্বেও ঘটনার বিরাম নেই। ওই ঘটনার দিন পনেরো পরে বহরমপুর শহরের খাগড়ায় বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর অভিযোগে গাড়ির চালক ও সওয়ারিকে মারধরের অভিযোগ ওঠে জনতার বিরুদ্ধে। সপ্তাহখানেক আগে শহরের কান্তনগরে এক যুবককে ছাগল চোর সন্দেহেও মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
এ দিন ওই কিশোর এক ব্যক্তির পকেট থেকে মোবাইল বের করেছে— এই সন্দেহে দড়ি দিয়ে তার দুই পা বেঁধে দেয়। দু’হাত পিছমোড়া করে বেঁধে দেয়। তার পরেই মারধর শুরু হয়। পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, লোকজন যাতে আইন হাতে তুলে না নেয়, সে বিষয়ে নাগাড়ে সচেতন করা হচ্ছে। এ ছাড়া সন্দেহজনক কাউকে দেখলে পুলিশকে খবর দিতেও বলা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, কী ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা যাচ্ছে। ওই কিশোরের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। যদিও ওই কিশোর সংবাদমাধ্যমকে বলেছে, তার বাড়ি ঝাড়খণ্ডে। শনিবার রাগ করে সে বাড়ি থেকে বহরমপুরে চলে আসে। তার দাবি, সে মোবাইল চুরি