বৃদ্ধার পচাগলা দেহ উদ্ধার হল নিখোঁজের তিন মাস পর। গ্রেফতার হয়েছেন ছেলে।
স্বামী মারা গিয়েছেন বেশ কিছু দিন আগে। তার পর এক মাত্র ছেলের সঙ্গে থাকতেন বৃদ্ধার। কিন্তু ৩ মাস থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না ৬০ বছর বয়সি সুপ্রিয়া সাহার। বৃহস্পতিবার রাতে ওই বাড়ি থেকেই উদ্ধার হল তাঁর পচাগলা দেহ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য নদিয়ার নবদ্বীপ থানার সরকার পাড়া এলাকায়। মায়ের রহস্যজনক মৃত্যুতে গ্রেফতার করা হয়েছে ছেলে জয় সাহাকে ।পুলিশ সূত্রে খবর, চলতি বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর সুপ্রিয়া সাহা নামে বৃদ্ধার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না, এই মর্মে নবদ্বীপ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সুপ্রিয়ার আত্মীয়া সবিতা। নিখোঁজ প্রৌঢ়ার এক মাত্র সন্তান অন্য একটি অভিযোগে জেলবন্দি ছিলেন। তাই বৃদ্ধার তালাবন্দি ঘরে তল্লাশি চালানো যায়নি। বুধবারই উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বাড়ি ফেরেন সুপ্রিয়া দেবীর ছেলে জয়।জয়ের দাবি, তিনি তালা ভেঙে বাড়ি ঢুকে দেখেন তাঁর মা মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। তাঁর কথায়, ‘‘তালা ভেঙে ঘরে ঢুকেই দেখি অনেকগুলো কম্বল দিয়ে মায়ের দেহ মোড়ানো রয়েছে। আমি পুলিশে খবর দিই। উল্টে পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করেছে।’’ অন্য দিকে তদন্তকারীদের দাবি, প্রায় ৩ মাস সুপ্রিয়া নিখোঁজ ছিলেন। তার পর নবদ্বীপ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি হয়। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে পায় ওই বাড়িতে দুটি ছেলে ঢুকছে। তার প্রায় ৪ ঘণ্টা পর কয়েক জনকে দেখা যায় বাড়ির বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন।’’
এ নিয়ে কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার ঈশানী পাল বলেন, ‘‘নিখোঁজ ডায়েরির ভিত্তিতে তদন্ত চলছিল। সুপ্রিয়ার ছেলের বয়ান সন্দেহজনক মনে হলে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তের জন্য পুলিশ তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে।’’
শুক্রবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে বিচারক ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।