Murshidabad

‘স্ত্রীর বিরহে খাওয়া ছেড়ে দেন’, ফোনের অপেক্ষায় নিজেকে শেষ করে দিলেন মুর্শিদাবাদের যুবক!

স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার জন্য বারকতক চেষ্টা করেছেন আলমগীর। কিন্তু ব্যর্থ হন। পরিবারের দাবি, স্ত্রী ফিরে না এলে একটি দানাও মুখে কাটবেন না বলে পণ করেন যুবক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ভগবানগোলা শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:০৯
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

রাগ করে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছেন স্ত্রী। এক বারও ফোন করেননি। সেই ‘অভিমানে’ আত্মঘাতী হলেন এক যুবক। মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার শ্যামপুরের ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, বিয়ের সম্বন্ধ হয়েছিল ২১ বছরের আলমগীর শেখের। দুই পরিবারের কথাবার্তা এগোনোর মধ্যে একে অন্যের ফোন নম্বর দেওয়া নেওয়া করেছিলেন আলমগীর এবং সাহানা। কিন্তু আচমকাই পাত্রের পরিবার ওই সম্বন্ধ নাকচ করে দেয়। অন্য দিকে, পরিবারের আপত্তি উপেক্ষা করে পছন্দের মানুষকে বিয়ে করেছিলেন আলমগীর। কিন্তু বিয়ের কিছু দিনের মধ্যেই শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। স্বামীকে ছেড়ে বাপের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন সাহানা।

স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার জন্য বারকতক চেষ্টা করেছেন আলমগীর। কিন্তু ব্যর্থ হন। পরিবারের দাবি, স্ত্রী ফিরে না এলে একটি দানাও মুখে কাটবেন না বলে পণ করেন যুবক। এর মধ্যে আত্মীয়েরা আলমগীরের স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে বিফল হন। আলমগীরের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলা হয়। অনুরোধ করা হয় একটিবার যেন ফোনে আলমগীরের সঙ্গে কথা বলা হয়। কিন্তু ওদিক থেকে কোনও সাড়া মেলেনি। মঙ্গলবার আলমগীরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর পরিবারের অভিযোগ, স্ত্রী ফোন না করাতেই অভিমানে আত্মঘাতী হয়েছেন যুবক। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করে শাস্তির দাবি করেছেন তাঁরা।

Advertisement

আলমগীরের দিদি রুবিয়া বিবি বলেন, ‘‘রবিবার মা ফোন করে জানায় ভাই খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। বলছে, বৌ ফোন না করলে জীবন শেষ করে দেবে। সবাই মিলে সাহানাকে অনুরোধ করলাম। ও চাইলে ভাইকে বাঁচাতে পারতাম।’’ মৃতের কাকা আরশাদ আলমের আবার ভিন্ন অভিযোগ। তাঁর দাবি, ‘‘ভাইপোর স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক আছে। তাই এই করুণ পরিণতি হল আমাদের আলমগীরের। ওর স্ত্রীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’’ অন্য দিকে, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে সাহানা বলেন, ‘‘স্বামীর পরিবারের প্রত্যেকেই শারীরিক এবং মানসিক ভাবে আমাকে অত্যাচার করত। বাধ্য হয়ে বাপের বাড়ি চলে এসেছি।’’ তিনি জানান, স্বামীর মৃত্যুর ব্যাপারে তিনি কিচ্ছু জানেন না। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement