এক কালে দেশ জোড়া খ্যাতি ছিল এই হাসপাতালের। শুধুমাত্র বক্ষ ও হৃদরোগের জন্য আস্ত একটি হাসপাতাল দেশে বড় একটা নেই। ছিল এ রাজ্যের কল্যাণীতে। সেখানে এক সময় নাম মাত্র খরচে ওপেন হার্ট অস্ত্রোপচার হত। পরে অস্ত্রোপচার তো দূর, এক সময় হৃদরোগের ন্যূনতম চিকিৎসাও মিলত না এখানে। গত দু’বছর ধরে হাসপাতালের হাল ফেরানোর জন্য উঠেপড়ে লাগেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার এক মহিলার বাইপাস সার্জারি হল। বর্তমানে সম্পূর্ণ নিখরচায় চিকিৎসা মেলে এখানে। অস্ত্রোপচারও তাই। অস্ত্রপচারের সরঞ্জামও মেলে বিনামূল্যে। এ বার থেকে নিয়মিত এই অস্ত্রোপচার হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার শান্তিপুরের ফুলিয়া প্রফুল্ল নগরের বাসিন্দা আদুরী পাল ভর্তি হন। তাঁর হৃদযন্ত্রের ভালভে ত্রুটি ছিল। বাইপাস সার্জারি ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। সুপার সুবিকাশ বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমরা ঠিক করি সোমবার থেকেই অস্ত্রোপচার শুরু করব।’’ গাঁধী হাসপাতালের চিকিৎসক সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় এবং সুবিকাশবাবু অস্ত্রোপচার করেন। সুবিকাশবাবু জানান, বেশ কিছু যন্ত্রপাতি কেনা হচ্ছে। স্টেন্ট বসানো-সহ ছোটখাটো অস্ত্রপচার তো হচ্ছেই। বাইপাসের পর এক মাসের মধ্যে হৃদযন্ত্রের সব ধরণের অস্ত্রোপচার নিয়মিত হবে।