নিজস্ব চিত্র।
প্রেমিকের বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী ও পাঁচ সন্তান। প্রেমিকারও স্বামী ও তিন সন্তান রয়েছে। দু’জনের নিজেদের ঘর সংসার ফেলে একসঙ্গে থাকা শুরু করেছিলেন। বছর দু’য়েক থেকেওছেন একসঙ্গে। কিন্তু দিন কয়েক আগে নিজের স্বামীর কাছে ফিরে যেতে চান প্রেমিকা। দাবি করা হয় পাঁচ লক্ষ টাকাও। প্রেমিক তা দিতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল সেই প্রেমিকার পরিবারের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে নদিয়ার নবদ্বীপ থানার মায়াপুর বামনপুকুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। গুরুতর জখম অবস্থায় ‘প্রেমিক’ মিলন শেখকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মিলনের মাথায় আঘাত রয়েছে। পুড়ে গিয়েছে তাঁর শরীরের অনেক জায়গা। এই ঘটনায় অভিযুক্ত প্রেমিকার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর দুয়েক আগে বামুনপুর এলাকার বাসিন্দা মিলনের সঙ্গে বাগানিয়া পাড়ার এক মহিলার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়। কিছু দিন পর স্ত্রীকে ছেড়ে তাঁর সঙ্গেই থাকতে শুরু করেন মিলন। কয়েক মাস আগে প্রেমিকা তাঁকে জানান, তিনি স্বামীর কাছে ফিরে যেতে চান। মিলনের পরিবারের দাবি, ওই মহিলার স্বামী মনতাজুল শেখ পাঁচ লক্ষ টাকাও দাবি করেন মিলনের কাছে। কিন্তু মিলন তাতে রাজি হননি। জানিয়ে দেন, তিনি সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা দিতে পারবেন। এ সব নিয়ে গন্ডগোলের জেরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রামে সালিশি সভাও ডাকা হয়।
মিলনের স্ত্রী মনসেরা বিবির অভিযোগ, সালিশি সভার আগে সকালে মিলনকে নিজের বাবার বাড়িতে ডেকে পাঠান প্রেমিকা। সেখানেই তাঁকে আক্রমণ করা হয়। ভারী কোনও বস্তু দিয়ে মাথায় আঘাতের পর গায়ে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টাও বলে দাবি। মনসেরা বলেন, ‘‘বছর দু’য়েক আগে আমার স্বামীকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। এখন নিজের স্বামীর কাছে ফিরে যেতে চেয়ে আমাদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। আমার স্বামী সেটা দিতে রাজি না হওয়ায় আজ বাড়িতে ডেকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা হয়।’’
পরিবারের দাবি, স্থানীয়েরাই জখম অবস্থায় মিলনকে হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর মিলন বলেন, ‘‘আমি বাড়িতে পৌঁছতেই বেশ কয়েক জন মিলে আমার মাথায় লোহার রড দিয়ে মারে। আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। জ্ঞান ফিরতে দেখি, শরীর আগুনে পুড়ে গিয়েছে।’’ মিলনের পরিবার ইতিমধ্যেই নবদ্বীপ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।