সোমবার ভগবানগোলার রানীতলায় নির্বাচনী জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৯ এপ্রিল, ২০২৪। ছবি: গৌতম প্রামাণিক
চড়া রোদ। ৪২ ডিগ্রির তাপমাত্রা উপেক্ষা করে দু'ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করছেন দলনেত্রীর সভায় আসা তৃণমূলের নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা। নির্ধারিত সময়ের থেকে এক ঘণ্টা দেরিতে সভাস্থলে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বক্তৃতার শুরুতেই মমতা বলেন, ‘‘৪২ ডিগ্রির তাপমাত্রা চলছে। হেলিকপ্টারে আসছিলাম, বাইরে তাকিয়ে মনে হচ্ছে আগুনের ঝড় বইছে। সবাই খুব সাবধানে থাকবেন।’’ সোমবার জঙ্গিপুর কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী খলিলুর রহমানের প্রচারে সভা করেন মমতা। ওই সভা থেকে জেলা জুড়ে কিছু শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা বলেন মমতা।
জেলার মুর্শিদাবাদ সিল্ক শাড়ির প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘‘জেলার সিল্কের শাড়ির নাম আছে। ওই শাড়িকে দেশের মধ্যে শুধু নয় বিশ্বের মধ্যে এক নম্বরে নিয়ে যাব।’’ কাঁসার শিল্প ও পুতুল শিল্পের যথেষ্ট নাম আছে বলে মমতা বলেন, ‘‘জেলার মূল শহরে একটি বাজার তৈরি করে ওই শিল্পের প্রসার ঘটানো হবে।’’
জেলায় গঙ্গা ভাঙন বড় সমস্যা। সুতি ও ধুলিয়ান জঙ্গিপুর কেন্দ্রের মধ্যে। ওই সভায় মমতা বলেন, ‘‘গঙ্গা ভাঙন রোধ করতে আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কান্দি মাস্টার প্ল্যানের কাজও আমরা শেষ করেছি। ১০ লাখ মানুষ উপকৃত হয়েছেন।’’ মুর্শিদাবাদের জন্য রাজ্য সরকার কী কী করেছে সে সব আপনারা জানেন, তাই সেটা নিয়ে আর কিছু বলার নেই বলেও দাবি করেন মমতা।
ভোট প্রচারে এসে জেলার গঙ্গা ভাঙনের কথা থেকে জেলার শিল্পের কথা ঘুরেফিরে মুখ্যমন্ত্রীর কথায় আসতে দেখে বিরোধীদের কটাক্ষ, ‘‘এই জেলার জন্য রাজ্য সরকার কী করেছে সে কথা বলতে পারেননি। তার মানে উল্লেখযোগ্য কোন কিছুই করেনি রাজ্য সরকার। এখন ভোটের মুখে সস্তার রাজনীতি করতে মুখে উন্নয়নের খই ফুটিয়েছেন। জেলাতে তৃণমূল যে কতখানি নড়বড়ে সেটা দিনের পর দিন ঘাঁটি গেড়ে থাকাতেই প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। মুর্শিদাবাদের মাটি কামড়ে পড়ে থেকে ভোট টানতে চাইছেন তৃণমূলনেত্রী। তৃণমূলের এক নেতাকে বলতে শোনা যায়, ‘‘জেলার তিনটি আসনের অবস্থা দোদুল্যমান অবস্থায় দাঁড়িয়ে। সেটা নেত্রী বুঝতে পেরেছেন।’’