ফ্লেক্স: নির্বাচন দফতরের ট্যাবলোয়। মঙ্গলবার কৃষ্ণনগরে। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য
এ বার ভোটের প্রচারে পরিবেশবান্ধব উপকরণ ব্যবহার করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলির কাছে আর্জি জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অথচ বারবার সেই আবেদন অগ্রাহ্য করতে দেখা যাচ্ছে জেলা নির্বাচন দফতরকে।
এর আগেও পরিবেশবান্ধব নয়, এমন ফ্লেক্সে নির্বাচন কমিশনের প্রচার দেখা গিয়েছিল জেলা প্রশাসনিক ভবন-সহ বহু জায়গায়। জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত বলেছিলেন, তিনি নিজে খোঁজ নিয়ে দেখবেন, কেন এমনটা হল। অথচ তার পরেও মঙ্গলবার সকালে কৃষ্ণনগরের মানুষকে ভোট দানে উৎসাহিত করতে প্রশাসনের বার করা শোভাযাত্রায় দেখা গেল ফ্লেক্সের ব্যবহার। সেখানে উপস্থিত থাকলেন জেলা প্রশাসনের কর্তারাও। নতুন ভিভিপ্যাট যন্ত্র সম্পর্কে ভোটারদের সচেতন করতে ফ্লেক্স লাগানো যে ট্যাবলো নামানো হল, সেটির উদ্বোধন করলেন জেলাশাসক নিজেই।
ফলে, প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলের কাছে যে আর্জি জানাচ্ছে, তাদের নিজেদের কাছে তার গুরুত্ব কতটা? এর আগে যে ফ্লেক্সগুলির ছবি খবরের কাগজে ছাপা হয়েছিল, সেগুলি পরে খুলে নেওয়া হয়। কিন্তু তার পরেও একই জিনিসের পুনরাবৃত্তি প্রশাসনের কর্তাদের সদিচ্ছা নিয়েই প্রশ্ন তুলছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তবে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, যে সংস্থাকে প্রচার সামগ্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, এটা তাদের ভুলেই হয়েছে। একেবারে শেষ মুহূর্তে বিষয়টি ধরা পড়ে। তখন আর কিছু করার ছিল না। জেলাশাসকের দাবি, “আমি স্পষ্ট করে সবাইকে জানিয়ে দিয়েছিলাম, পরিবেশবান্ধব পচনশীল উপকরণ ছাড়া প্রচারে কিছু ব্যবহার করা যাবে না। তার পরেও কী করে এমনটা ঘটল, তা জানতে চেয়েছি।”
এ রকম কাপড়ের ব্যানারই ব্যবহার করার কথা। নিজস্ব চিত্র
কৃষ্ণনগরের যে সংস্থাকে ট্যাবলো সাজানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাদের দাবি, খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই আয়োজন করতে হওয়ায় বিষয়টি তাদের মাথায় ছিল না। সংস্থার কর্ণধার অয়ন ঘোষ বলেন, “এমন ভুল যাতে আর না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখব।”