ঝুলেই রইল রানাঘাট কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর ভাগ্য। যার জেরে শুক্রবার দিনভর কোনও প্রচারই হল না।
এ দিনই রানাঘাট কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন রূপালী বিশ্বাস। কিন্তু রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর বাদকুল্লা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক মুকুটমণি অধিকারীর ইস্তফা নামঞ্জুর করায় তাঁর পক্ষে মনোনয়ন পেশ করা সম্ভব নয়। কেননা সরকারি চাকরিতে থেকে প্রার্থী হওয়া যায় না। মুকুটমণির সামনে এখনও আদালতে যাওয়ার রাস্তা খোলা আছে। যদিও এ দিন পর্যন্ত তেমন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। বিজেপির কাছে দ্বিতীয় উপায়, প্রার্থী পাল্টানো। সেই ব্যাপারেও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ফলে গোটা বিজেপি শিবিরই অনিশ্চয়তার দোলাচলে দুলছে।
বিজেপি সূত্রের খবর, রাজ্য নেতৃত্ব শনিবার পর্যন্ত পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষপাতী। আজ, শনিবারের মধ্যে যদি কোনও সমাধানসূত্র না পাওয়া যায়, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ মাফিক পদক্ষেপ করা হবে। সন্ধ্যায় মুকুটমণি বলেন, “দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিষয়টি দেখছেন। তাঁরাই যা করার করবেন। আশা করি, খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যা মিটে যাবে।” তাড়াতাড়ি না মিটে অবশ্য উপায়ও নেই। আগামী ৯ এপ্রিল মনোনয়ন জমার শেষ দিন। তার আগেই বিজেপিকে যা করার করতে হবে।
জেলা বিজেপি সূত্রের খবর, প্রার্থী নিয়ে জটিলতা না কাটায় এ দিন প্রচার বন্ধ রাখা ছাড়া উপায় ছিল না। এ দিন রানাঘাট ২ ব্লকের বেশ কিছু জায়গায় প্রচারে যাওয়ার কথা ছিল প্রার্থীর। সকালে আড়ংঘাটার যুগলকিশোর মন্দিরে পুজো দিয়ে দলুয়াবাড়ি, কুলগাছি, সবদালপুর, বহিরগাছি, বঙ্কিমনগর, সলুয়া, ধানতলা, দত্তপুলিয়া-সহ বিভিন্ন জায়গায় কর্মিসভা ও হেঁটে প্রচারের কর্মসূচি ছিল। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেই তা বন্ধ রাখা হয়েছে। বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জগন্নাথ সরকার বলেন, “আপাতত আমাদের প্রার্থীকে নিয়ে দলীয় প্রচার স্থগিত রাখা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছি।”
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
একেই প্রার্থী ঘোষণায় দেরি হওয়ায় বিজেপি কর্মীরা এই সবে মাঠে নেমেছিলেন। এই অবস্থায় ফের আচমকা প্রচার থেমে যাওয়ায় ধাক্কা খেয়েছে কর্মীদের মনোবলও। মুকুটমণি আদৌ ভোটে লড়তে পারবেন কি না, কী ভাবে জটিলতা কাটবে, তিনি প্রার্থী হতে না পারলে কে হবেন, কোনও প্রশ্নেরই আপাতত সদুত্তর নেই জেলা নেতাদের কাছে। পরিস্থিতি যে জটিল জায়গায় যাচ্ছে তা মানছেন একাধিক বিজেপি নেতারাও। জগন্নাথ বলেন, “হাতে সময় কম। তবে আমাদের কর্মীরা নিজেদের মতো করে এলাকায় প্রচারের কাজ করছেন।” মুকুটমণি বলছেন, “কয়েক দিন ছোটাছুটি করতে গিয়ে প্রচার সে ভাবে হয়নি। আমি আবার দ্রুত প্রচার শুরু করতে চাই।”