Road renovation work stopped

নতুন রাস্তায় উঠছে পিচ, প্রতিবাদে বন্ধ হল কাজ

গাবরুডাঙ্গার বাসিন্দা উৎপল হালদার ও স্বপন ভাদুড়ী বলেন, "রাস্তা সংস্কারে বরাদ্দ পুরো টাকাটাই জলে চলে যাচ্ছে, না কি অন্য কোথাও গিয়েছে আমরা বুঝতে পারছি না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

 করিমপুর  শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৪ ০৯:৩৫
Share:

করিমপুর এলাকায় পাকা সড়ক মেরামতিতে নিম্নমানের কাজ হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উঠে যাচ্ছে পাথর ও পিচের মিশ্রণ। ছবি: অমিতাভ বিশ্বাস

নিম্নমানের কাজের অভিযোগে পাকা সড়ক মেরামতির কাজ বন্ধ করে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পূর্ত দফতরের তত্ত্ববধানে ওই সড়ক মেরামতির কাজ চলছিল করিমপুরের গাবরুডাঙ্গা গ্রাম থেকে কলাবাড়িয়ার দিকের রাস্তায়। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকালে ঠিকাদার দ্বারা সড়ক মেরামতির কাজ নিম্নমানের হচ্ছে দেখে প্রতিবাদ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা রাস্তা সংস্কারের কাজ বন্ধ করে দেন।

Advertisement

বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই রাজ্য সড়ক বেশ কয়েক জায়গায় ভেঙে যাওয়ায় মাসদুয়েক আগে বিক্ষিপ্ত ভাবে সারানো হয়। ফের প্রায় ১২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১৩০০ মিটার রাস্তা মেরামতি শুরু হয় গত মঙ্গলবার। অভিযোগ, রাস্তার ধুলোবালি পরিষ্কার না করেই পাথর ও পিচ মেশানো মিশ্রণ ফেলে রোলার চালিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। স্থানীয়দের দাবি, সেই আস্তরণ রাস্তা থেকে উঠে যেতে শুরু করে। যা দেখে ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষজন।

স্থানীয় বাসিন্দা রিন্টু বিশ্বাস ও অভিজিৎ মণ্ডলের অভিযোগ, যে ভাবে পাথর ও পিচ মিশিয়ে রাস্তার উপরে দিয়ে রোলার চালানো হচ্ছিল, তা দীর্ঘমেয়াদি কাজ নয়। পাশাপাশি, পিচ-পাথর মেশানো মিশ্রণ দেওয়ার আগে রাস্তার উপরে এক ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা এখানে দেওয়া হয়নি। কাজের মান এতটাই নিম্নমানের হয়েছে যে, নতুন রাস্তা থেকে পাথর ও পিচ উঠে পড়ছে। হাঁটাচলা করলে কিংবা সাইকেল গেলেই ওই আস্তরণ উঠে যাচ্ছে বলে স্থানীয়দের দাবি।

Advertisement

গাবরুডাঙ্গার বাসিন্দা উৎপল হালদার ও স্বপন ভাদুড়ী বলেন, "রাস্তা সংস্কারে বরাদ্দ পুরো টাকাটাই জলে চলে যাচ্ছে, না কি অন্য কোথাও গিয়েছে আমরা বুঝতে পারছি না। এত নিম্নমানের কাজ হবে, ভাবা যায় না।" এর পরেই এলাকার মানুষজন ওই নিম্নমানের রাস্তা সংস্কার কাজের বিষয়ে আপত্তি জানান। এলাকার মানুষের আপত্তি ও প্রতিবাদ দেখে ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে দেন।

ঠিকাদারের তরফে জয়ন্ত ঘোষ বলেন, "ভাল করে, রাস্তা পরিষ্কার করেই মেরামত করার কথা ছিল। কিন্তু রাতে ওই পাকা সড়ক দিয়ে ট্রাক্টর ও মাটি-বোঝাই গাড়ি চলাচলের জন্য রাস্তা পরিষ্কার করার পর ফের নোংরা হয়ে গিয়েছিল। আর নিম্নমানের কাজ করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।"

করিমপুরের পূর্ত দফতরের আধিকারিক বলাই ঘোষ বলেন, "নিম্নমানের কাজের অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement