গ্রেফতার করতে আসার প্রতিবাদে অবরোধ। —নিজস্ব চিত্র।
গণনা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে বাড়ির সামনে গুলি ছোড়ার অভিযোগ করেছিলেন তিনি। রানাঘাট ১ ব্লকের রামনগর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ী সেই নির্দল প্রার্থী তাপসী আঢ্যকেই পুরনো মামলায় গ্রেফতার করতে এল পুলিশ। তার প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই কৃষ্ণনগর-রানাঘাট রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন। শেষ পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার না করেই ফিরতে হয় পুলিশকে।
গত মঙ্গলবার ছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গণনা। অভিযোগ, তার আগে মাঝরাতে নির্দল প্রার্থী তাপসী আঢ্যের বাড়িতে দু’টি মোটরবাইকে চার জন দুষ্কৃতী আসে। বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে এক জন বাড়ির গেটের বাইরে থেকে রিভলভার উঁচিয়ে ঢুকে শূন্যে তিন রাউন্ড গুলি চালায়। বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায় বাড়ির লোকজনের। পরে গেটের ভিতরে একটি গুলির খোল উদ্ধার হয়। বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরায় ছবি ধরা পড়েছে।
তাপসীর পরিবারের দাবি, পুলিশি হয়রানি এবং তৃণমূলের হুমকি-শাসানির কারণে তাঁরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হতে পারেননি। নির্বাচনে জয়লাভ করার পর কিছুটা মনোবল বেড়েছে, তাই বিষয়টি জানাজানি হয়েছে। পরিবারের সদস্য কার্তিক আঢ্য বলেন, "১৯৯৮ সাল থেকে আমরা তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমার স্ত্রী তৃণমূলের হয়ে দাঁড়িয়ে সিপিএমের কাছে পরাজিত হয়। পরে সিপিএমের ওই লোকজনও তৃণমূলে যোগ দেয়। তাদের এ বার দল টিকিট দিয়েছে। তাই ভাইয়ের স্ত্রীকে নির্দল প্রার্থী করেছি।"
কার্তিকের অভিযোগ, "ভাইয়ের স্ত্রী নির্দল প্রার্থী হওয়ার কারণে প্রথম থেকেই আমাদের উপর পুলিশ চাপ সৃষ্টি করে। আমাদের এক আত্মীয়কে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই ওই রাতে আমাদের বাড়িতে গুলি চালিয়েছে। ওরা চেয়েছিল, আমরা যাতে গণনা কেন্দ্রে না যাই।" তবে রানাঘাট-১ ব্লকে পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ ভৌমিক অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা বলেন, "নির্দল প্রার্থী সহানুভূতি আদায় করার জন্য এই সব বলছেন। গুলি চালানোর কোনও ঘটনা ঘটেনি। তৃণমূল এর সঙ্গে জড়িত নয়।''