প্রতীকী ছবি।
এ বারে আলোর কেরামতি দেখা যাবে বহরমপুরের ভট্টাচার্য পাড়া সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির মণ্ডপে। এ বারে তাঁদের পুজোর মূল আকর্ষণ হল ‘থ্রিডি ম্যাপিংয়ে’র ব্যবহার করে মণ্ডপসজ্জা। সঙ্গে থাকছে আকর্ষণীয় ‘লেজ়ার শো’। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, থ্রিডি ম্যাপিংয়ের সাহায্যে তাঁদের মণ্ডপে ৮ রকমের থিম দেখানো হবে। মণ্ডপের উপরে ফেলা হবে থ্রিডি আলো। আর তার সাহায্যে কখনও সমুদ্রের তলার জলজজীবনের চালচিত্র যেমন তুলে ধরা হবে, কখনও বা দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে ব্রিটিশদের অত্যাচারের কাহিনি তুলে ধরে হবে। আবার কখনও আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের গল্প যেমন আলোর কেরামতিতে ফুটিয়ে তোলা হবে মণ্ডপে গায়ে, কখনও বা দেখা যাবে পুজো মণ্ডপ দুমড়ে মুচড়ে ভেঙে পড়ছে, চকলেটের মতো গলে যাচ্ছে মণ্ডপ। এ ভাবেই দু’মিনিট অন্তর মোট আটটি থিম আলোর সাহায্যে ফুটিয়ে তোলা হবে তাঁদের মণ্ডপে।
এ জন্য পুজো উদ্যোক্তারা বেঙ্গালুরু থেকে এই থ্রিডি লাইট আনাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, সেই আলোর কেরামতি দেখানোর জন্য বেঙ্গালুরু থেকে দক্ষ লোকজনও আনা হচ্ছে।
ভট্টাচার্য পাড়া সর্বজনীন দুর্গাপুজো পুজো কমিটির সম্পাদক সুজয় সরকার বলছেন, ‘‘আমরা প্রতি বছর মণ্ডপে নতুনত্ব আনি। কখনও কাঁসা পিতলের মণ্ডপ তৈরি করেছি, কখনও বা ১২৫ কেজি সোনার গয়না দিয়ে প্রতিমাকে অলঙ্ককরণ করে জেলাবাসীকে চমক দিয়েছিলাম। এবারে রাশিয়ার মস্কোর বলসয় থিয়েটারের আদলে আমাদের মণ্ডপ হচ্ছে। আর সেই মণ্ডপে থ্রিডি ম্যাপিংয়ের সাহায্যে নানা থিম তুলে ধরা হবে। পুজো মণ্ডপে থ্রিডি ম্যাপিংয়ের ব্যবহার এরাজ্যে প্রথম আমরাই করছি।’
এই পুজো শুরু কবে? কর্মকর্তারা জানান, তখন দেশে ব্রিটিশ শাসন চলছে। বহরমপুরে হাতে গোনা কয়েকটি দুর্গাপুজো হত। তার মধ্যে অন্যতম ছিল এই পুজো। ১৯৩৯ সালে এখানে পুজো শুরু হয়। তৎকালীন মূক ও বধিরদের বিদ্যালয় চত্বরে প্রথম পুজো হত। সেই বিদ্যালয় উঠে গিয়েছে। তবে সেই বিদ্যালয়ের পুরনো ভবন থেকে গিয়েছে। সেই ভবন লাগোয়া জায়গাতেই ২০০৬ সাল থেকে বিগ বাজেটের পুজো হচ্ছে। এ বার বাজেট ৩০ লাখ টাকা।