এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। শনিবার এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য মুর্শিদাবাদের ডোমকল থানায় এলাকায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন ওই যুবক। ইতিমধ্যে তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন পরিবারের অন্যান্য সদস্য। তবে অভিযুক্তকে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আহত যুবকের নাম হাসানুর শেখ। মুর্শিদাবাদের ডোমকল থানা এলাকার বাসিন্দা তিনি। যে যুবতীর সঙ্গে হাসানুরের বিয়ে হয়েছে, তাঁর এটি দ্বিতীয় বিয়ে। তবে পরিবারের দাবি, এই বিয়েও সুখের হয়নি। প্রায়শই দাম্পত্য কলহ হয় তাঁদের। শুক্রবার রাতে হাসানুরের আর্ত চিৎকারে প্রতিবেশীরা তাঁর বাড়িতে ছুটে যান। তাঁরা দেখেন, বিছানা রক্তে ভেসে গিয়েছে। তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন যুবক। কী করে এমনটা হল, জিজ্ঞাসা করায় যুবক জানান, তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। সেই সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর পুরুষাঙ্গে কোপ বসিয়েছেন স্ত্রী। অন্য দিকে, হাসানুরের স্ত্রী তত ক্ষণে গা ঢাকা দিয়েছেন।
প্রথমে হাসানুরকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল স্থানীয় হাসপাতালে। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন চিকিৎসক। এখন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজেই চিকিৎসক রয়েছেন যুবক। হাসানুরের প্রতিবেশী নাজমুল শেখ বলেন, ‘‘রাতে প্রচন্ড চিৎকার শুনে আমরা ওর বাড়িতে যাই। সেখানে সাহানুরকে রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে চমকে যাই সকলে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। সঙ্গে সঙ্গে ওকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। ওর স্ত্রী এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ। পুলিশের কাছে এ নিয়ে অভিযোগও হয়েছে বলে শুনেছি।’’
জখম যুবকের পরিবারের দাবি, হাসানুরের স্ত্রী প্রথমে ওর খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দিয়েছিলেন। ঘুমিয়ে পড়লে গভীর রাতে তাঁর পুরুষাঙ্গ কেটে দেন। নিছক দাম্পত্য কলহ থেকে এমনটা করেছেন বলে মনে করছেন না হাসানুরের পরিবারের সদস্যেরা। তাঁদের অভিযোগ, অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে হাসানুরের স্ত্রীর। স্বামী ওই সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন বলে এই আক্রমণ। যদিও অভিযুক্ত মহিলা পলাতক বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তাঁর খোঁজ চলছে।