কৃষ্ণনগর পুরসভার তরফে প্লাস্টিকে নিষেধাজ্ঞা জারির পরেও চলছে অবাধ ব্যবহার। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য
শহরকে মিহি প্লাস্টিকমুক্ত করা হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল শান্তিপুর পুরসভা। জেলাসদরের পথে হেঁটে শান্তিপুরেও প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ব্যবহারে জরিমানার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। আজ, নতুন বছরের শুরু থেকেই তা কার্যকর হবে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গেছে।
মিহি প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে এর আগে জেলাসদর কৃষ্ণনগর কড়া পদক্ষেপ করেছে। জরিমানাও ধার্য করা হয়েছে। এ বার সেই পথে হাঁটছে শান্তিপুরও। গত নভেম্বরে পুরসভার বোর্ড অব কাউন্সিলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ৫০ মাইক্রনের কম বেধের প্লাস্টিকজাত সামগ্রীর ব্যবহারে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েরই জরিমানা হবে। বিক্রেতার ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা এবং ক্রেতার ক্ষেত্রে ১০০ টাকা জরিমানা নেওয়া হবে।
গত মাসখানেক ধরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় পুরসভার তরফে প্রচার চালানো হয়েছে। বাজারে গিয়ে কথা বলেছেন পুরপ্রধান ও অন্য অফিসারেরা। জরিমানার বিষয়টিও স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে, পরিবেশবান্ধব ব্যাগের ব্যবহারে জোর দেওয়া হয়েছে। শান্তিপুর শহরে এই ধরনের প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগের ব্যবহার এখন কিছুটা হলেও কমেছে। বছরের শেষ দিনে কিছু জায়গায় প্লাস্টিক ব্যাগ দেখা গেলেও তা আগের চেয়ে অনেকটাই কম।
শান্তিপুরের বাসিন্দা, পরিবেশকর্মী সুব্রত বিশ্বাস বলেন, “প্লাস্টিকের ব্যবহার যদি পুরোপুরি বন্ধ করা যায়, খুবই ভাল। সবাইকেই এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে এবং প্রশাসনের এই উদ্যোগ সফল করতে এগিয়ে আসতে হবে।” পুরপ্রধান অজয় দে বলেন, “আমরা নানা জায়গায় ঘুরে নাগরিকদের মধ্যে প্রচার চালিয়েছি। জরিমানাও নেওয়া হবে। আমরা সবার সহযোগিতা চাই।” তবে ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের বিকল্পও যাতে কম দামে সহজে পাওয়া যায়, সেটাও দেখতে হবে।
গত বছরও নানা সময়ে শান্তিপুর পুরসভার তরফে প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো হয়। কিন্তু তার পরেও শহর জুড়ে প্লাস্টিক ব্যবহার চলছেই। শান্তিপুরের বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে এই প্লাস্টিক। নতুন বছরের শুরু থেকেই প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ কতটা ফলপ্রসু হয়, সেটাই এখন দেখার।