করিমপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস। নিজস্ব চিত্র
সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও ভোটের পর শাসক দলের শাসানিতে বিজেপির হাতে থাকা এই পঞ্চায়েত পূর্ণ সময়ে কাজ করতে পারেনি বলে অভিযোগ ছিল। চাপের মুখে এলাকার অন্যান্য পঞ্চায়েতের কিছু বিজেপি সদস্য মাথা নুইয়ে দলবদল করলেও প্রায় দেড় বছর ‘অজ্ঞাতবাসে’ থেকে বিজেপি সদস্যেরা শেষমেশ করিমপুর ২ পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করে।
এই পঞ্চায়েতে ১২ আসন পেয়ে বোর্ড গঠনের পর বিজেপির মনীষা মালাকার প্রধান হন, উপপ্রধান হন সোমা ভট্টাচার্য। বছরখানেক আগে অন্যত্র নিয়োগ নেওয়ায় প্রধান মনীষা পঞ্চায়েতের প্রধান ও সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপপ্রধান সোমা ভট্টাচার্যকে প্রধানের পূর্ণ ক্ষমতা দিয়ে তাকে কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়। সেই থেকেই তিনি প্রধান রয়েছেন।
নামে গ্রাম পঞ্চায়েত হলেও এই পঞ্চায়েতের বেশ কিছু এলাকা কার্যত করিমপুর শহরের মধ্যে পড়ে। বৃষ্টি হলে সেই এলাকার আনন্দপল্লি, লক্ষ্মীপাড়ার মতো কিছু জায়গায় জল জমে সাধারণ মানুষকে নাকাল হতে হয়। যদিও শাসক বিরোধী পঞ্চায়েত হলেও তৃণমূলের সদস্যেরা আসন্ন নির্বাচনের ভোটের আগে আর কোনও রকম বিরোধ-বিতর্কে না গিয়ে উন্নয়ন ও পরিষেবার প্রসঙ্গ তুলে প্রচারে নামার তোড়জোড় করছেন। দিন কয়েক আগে সুজন চক্রবর্তীর সভায় এই গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি-তৃণমূল আঁতাঁতের অভিযোগ তোলে সিপিএম। যদিও বিজেপি বা তৃণমূল কোনও পক্ষই তা মানতে চায়নি।