কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ। —ফাইল চিত্র।
কানে ব্যথায় খুব কষ্ট পাচ্ছিল এক শিশু। বাবা-মা তাকে নিয়ে এসেছিলেন হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসার নামে শিশুর কানে গরম জল ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক জুনিয়র চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার এ নিয়ে শোরগোল নদিয়ার কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজে। শিশুর বাবা-মায়ের অভিযোগ, গরম জল পড়ে বাচ্চাটির কানের একাংশ পুড়ে গিয়েছে। অন্য দিকে, অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন খোদ হাসপাতালের সুপার। তিনি জানান, যা ঘটেছে, তা দুর্ভাগ্যজনক। এ ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
হাসপাতালের একটি সূত্রে খবর, উত্তর চব্বিশ পরগনার কাঁচড়াপাড়ার বাসিন্দা এক দম্পতি তাঁদের চার বছর এক শিশুকন্যার চিকিৎসা করানোর জন্য কল্যাণী জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে বহিঃর্বিভাগে এসেছিলেন। শিশুটি কানের ব্যথায় ভুগছিল। সেখানে চিকিৎসকেরা কানে ঠান্ডা জল না দিয়ে ফুটন্ত গরম জল দিয়ে দেন বলে অভিযোগ। পরিবারের অভিযোগ, শিশুটির কান পরিষ্কার করানোর সময়ে ওই ঘটনা ঘটে। যন্ত্রণায় বাচ্চাটি চিৎকার শুরু করে। অন্য দিকে, ওই ঘটনার বিষয়টি জানাজানি হতেই অভিযুক্ত জুনিয়র চিকিৎসক পালিয়ে যান বলে অভিযোগ।
ইতিমধ্যে হাসপাতাল সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে ওই পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তও শুরু হয়েছে। তবে ওই চিকিৎসককে এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলে খবর। শিশুটির অভিভাবকের অভিযোগ, ‘‘চিকিৎসার সময় ঠান্ডা জলের বদলে গিজ়ারের গরম জল কানে ঢেলে দেন ডাক্তার। যখন বাচ্চাটি যন্ত্রণায় ছটফট করছে, তাকে ফেলে রেখে সেখান থেকে পালিয়ে যাযন উনি।’’ এই অভিযোগ প্রসঙ্গে হাসপাতালের সুপার অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক একটি ঘটনা। এই রকমের ঘটনা যাতে আমাদের হাসপাতালে আর না ঘটে, সেদিকে ব্যবস্থা রাখা হবে।”