রানাঘাট মিশন রেলগেট। শুক্রবার। —নিজস্ব চিত্র।
আট ডাকাত যে কল্যাণী থেকে জাতীয় সড়ক হয়ে মিশন রোডের পাশে নামি সংস্থার গয়নার দোকানে এসেছিল এবং সেই পথেই ফিরতে চেয়েছিল, সে বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত পুলিশ। কিন্তু তাদের পালিয়ে যাওয়ার পথ কোনটি, তা এখনও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।
রানাঘাট-শিয়ালদহ শাখায় রেলের সময়সূচি অনুযায়ী দুপুর ৩টে ৫ থেকে ৩টে ৫৪ পর্যন্ত আপ ও ডাউন লাইনে কোনও ট্রেন নেই। ফলে প্রায় ৪৫ মিনিট মিশন রেলগেট বন্ধ রাখার প্রয়োজনও নেই। সাড়ে ৩টে বা পৌনে ৪টের সময়ে যে রেলগেট বন্ধ থাকবে না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই কাজে নেমেছিল ডাকাতেরা। ডাকাতির দিন দুপুর ৩টে ৩২ মিনিটে আপ লাইনে একটি মালগাড়ি গিয়েছিল। কিন্তু তার সময়সূচি আগে থেকে দুষ্কৃতীদের জানার কথা নয়।
তাই ডাকাতির পর রেলগেট পার করে তাদের চাকদহের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের কাছ থেকে যে দু’টি মোটরবাইকের নম্বর প্লেট উদ্ধার হয়েছে তার একটি উত্তর ২৪ পরগনার, অপরটি বিহারের। নদিয়ায় ডাকাতির পর উত্তর ২৪ পরগনায় যেতে হলে ওই রেলগেট পার করতেই হত।
রানাঘাট থানার একটি সূত্রের দাবি, আট জন তিনটি মোটরবাইকে এসেছিল। পালানোর সময় পাঁচ জন গুলি ছুড়তে থাকে। বাকি তিন জন তিনটি মোটরবাইক চালু করার চেষ্টা করছিল। যদিও তা সফল হয়নি। ঘটনাস্থল থেকে ১০০ মিটারের মধ্যেই তিনটি মোটরবাইক পরে পাওয়া গিয়েছে। ওই বাইকগুলি বিহারের দুষ্কৃতীদের কাছে কী করে গেল, সেই প্রশ্নের উত্তরও অজানা।