ভাই ভাই সংঘ। নিজস্ব চিত্র।
বাড়ি থেকে নিয়ে আসা হল মা-কাকিমাদের কাপড়। তাই দিয়েই তৈরি হল মণ্ডপ। মণ্ডপের ভেতরে ছোট জগদ্ধাত্রী প্রতিমা। পুজোর আয়োজন করতে গিয়ে কার্যত গলদঘর্ম অবস্থা। তা বলে আবেগের পুজোর আয়োজনে তো কোনও ঘাটতি রাখা যায় না! সে দিনের সেই ছোট্ট পুজো আজ কৃষ্ণনগরের বড় পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম। এই শহরের অন্যতম আকর্ষণ।
ক্লাবের সদস্যেরা জানান, তৎকালীন কংগ্রেস নেতা অনাদিকৃষ্ণ দেবের তিন সন্তান ও তাঁর ভাইপোরা মিলে এই পুজোর আয়োজন শুরু করেন। আনন্দ দেব, অমলকৃষ্ণ দেব, জীবন দেবরা ক্লাবের নাম দিলেন ‘ভাইভাই সঙ্ঘ’। তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হলেন অনিত পাল, উত্তম ভদ্রদের মতো বেশ কয়েক জন। সেই শুরু। ছিয়াত্তর বছরের সাধনা ঘোষ বলেন, “দাদারা খুব ছোট করে পুজোটা শুরু করেছিলেন। মা-কাকিমাদের কাপড় দিয়ে মণ্ডপ তৈরি হত। আমরাও ওদের সঙ্গে থাকতাম। পরে পুজোটা আস্তে আস্তে বড় হতে থাকল।”
এই বড় হওয়ার পিছনে অনেকেরই অবদান আছে বলে মনে করেন পুজো কমিটির সদস্যরা। তাঁদের মধ্যে অন্যতম প্রাক্তন কাউন্সিলর দিলীপ শর্মা। দীর্ঘ দিন ধরে অর্থ ছাড়াও নানা ভাবে তিনি এই পুজোর পাশে থেকেছেন। পুজো কমিটির সভাপতি মিলন ঘোষ বলেন, “দিলীপদা নানা ভাবে আমাদের সাহায্য করতেন। তবে ভাইভাই সঙ্ঘের পুজো এলাকার মানুষের আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়ায় আজ সকলেই নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে পুজোয় যোগ দেন। আর সেই কারণেই দিন দিন আমাদের পুজো কলেবর বাড়ছে।”
পুজোর অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হল প্রতিমা এখানে দেবীমূর্তির পরিবর্তে পুতুল মূর্তিতে পুজিত হন। প্রতি বছর আকর্ষণীয় থিম থাকে। মাঠে মেলা বসে। প্রতিমা দর্শনের পাশাপাশি বিনোদনের দিক থেকেও এখানকার পুজো বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য।