প্রতীকী ছবি।
করোনার জন্য মায়াপুরে এ বারের ইস্কনের দোল উৎসব হতে চলেছে ‘ভার্চুয়াল।’ ইস্কন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত সিদ্ধান্ত রয়েছে স্মার্টফোনে, মায়াপুর টিভি বা ইউটিউব চ্যানেলে দোলের উদ্যাপন দেখেই খুশি থাকতে হবে দেশ-বিদেশের ভক্তদের।
মায়াপুর ইস্কনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিকগৌরাঙ্গ দাস জানান, ইউরোপ-সহ বিশ্বের অনেক প্রান্তে করোনা পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। এই পরিস্থিতিতে বহিরাগত ভক্তদের মায়াপুরে আসা সম্ভব হচ্ছে না। তাই রথযাত্রা, জন্মাষ্টমী যে ভাবে সংক্ষিপ্ত আকারে অনুষ্ঠিত হয়েছিল দোল উৎসব সে ভাবেই হবে।
এ প্রসঙ্গে গৌরাঙ্গ দাসের বক্তব্য, “ইস্কনের দোল প্রতি বছর প্রায় এক মাস ধরে চলে। যার গুরুত্বপূর্ণ পর্ব হল, ইস্কনের প্রধান পরিচালন সমিতির বার্ষিক অধিবেশন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে পদাধিকারীরা আসেন এতে যোগ দিতে। এখানে ইস্কন পরিচালনার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বার করোনার জন্য জিবিসির বৈঠক পুরোটাই ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে হবে। দোলের ক্ষেত্রেও তাই। যে যাঁর নিজের দেশ থেকেই দোলে অংশ নেবেন। তবে সব সিদ্ধান্তই পরিবর্তন হতে পারে বিশেষ পরিস্থিতিতে।”
এখনও পর্যন্ত যা ঠিক হয়েছে তাতে স্থানীয় অংশগ্রহণকারীরা মায়াপুরে আসবেন ৭ মার্চ। তাঁদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রিত হবে। ৮-১১ মার্চ শ্রবণ উৎসব। ১২ মার্চ ধ্বজা উত্তোলন এবং কীর্তন মেলার সূচনা। ১৭-২৩ মার্চ নবদ্বীপ মণ্ডল পরিক্রমা। কিন্তু সেই পরিক্রমাও চেনা ছকে হবে না।
কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিয়ন্ত্রিত সংখ্যায় মানুষ পরিক্রমায় অংশ নেবেন। পথে কোথাও রাত্রিবাসের ব্যবস্থা থাকছে না। সকালে মায়াপুর ইস্কন মন্দির থেকে পরিক্রমা শুরু হয়ে সন্ধ্যার মধ্যে তাঁরা ফিরে আসবেন। পথে ভক্তদের সকাল এবং দুপুরের প্রসাদ দেওয়া হবে। ইস্কন রাত্রিবাসের ব্যবস্থা না থাকায় অংশগ্রহণকারীদের রাত্রিবাসের ব্যবস্থা নিজেদের করতে হবে। ইতিমধ্যে অনলাইনে বুকিং নেওয়া শুরু হয়েছে।
মায়াপুর হোটেল ব্যবসায়ী সংগঠনের সম্পাদক প্রদীপকুমার দেবনাথ অবশ্য বলেন, “করোনার ছায়া থেকে কিছুতেই বেরিয়ে আসতে পারছি না। অন্যবার অনেক আগে থেকে সব ঘর বুক হয়। অধিকাংশ বিদেশিরাই নিয়ে নেন। সেটাই দোলে আমাদের সবচেয়ে বড় লাভ। এ বারে যেহেতু ওঁরা আসছেন না ফলে ব্যবসা অনেকটাই মার খাবে।’’