‘ইনসাফ যাত্রা’ পৌঁছল মুর্শিদাবাদে। — নিজস্ব চিত্র।
ভাঙনের স্থায়ী সমাধান, পরিযায়ী শ্রমিকের সুরক্ষা, কর্মসংস্থান-সহ একাধিক দাবিতে পথে বাম যুবরা। মু্র্শিদাবাদে সেই ইনসাফ যাত্রা পৌঁছতেই উচ্ছ্বাস চোখে পড়েছে। বাম নেতৃত্বের দাবি, জনতার ভাল সাড়া মিলেছে।
সদ্য শেষ হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে যুবদের সামনের সারিতে রেখে স্থানীয় ইস্যুতে প্রচার করে ভাল ফল করেছে বামেরা। আর তাই যুবদের মুখ করে ফের ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে তারা। মুর্শিদাবাদের মদনপুর পঞ্চায়েতে প্রধানের পদে প্রাক্তন যুবনেতা নাজমুল হককে বসানো হয়েছে। জলঙ্গি থেকে জেলা পরিষদে গিয়েছেন আর এক যুব নেতা ইমরান হোসেন। বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে যে তিন জন জিতেছেন, তাঁদের মধ্যে দু’জন জিনারুল ইসলাম এবং মিজানুল হক যুব সংগঠনের নেতা। রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতি দখল করেছে বাম-কংগ্রেস। এখানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন যুবনেতারা। এ বার এই যুবদের দিয়েই শুরু হয়েছে ডিওয়াইএফের ‘ইনসাফ যাত্রা’।
নভেম্বর মাসের ৩ তারিখ কোচবিহার থেকে শুরু হয়েছে এই পদযাত্রা। শনিবার সেই যাত্রা মুর্শিদাবাদ জেলার একেবারে উত্তরে পৌঁছেছে। পদযাত্রা শেষে ওই দিন ফরাক্কার তিলডাঙায় সভাও হয়েছে। রবিবার কালীপুজোর দিন ফরাক্কাতেই দিনভর ইনসাফ যাত্রায় রাজ্য নেতাদের পাশাপাশি ব্যস্ত ছিলেন জেলা নেতারাও। সোমবার নিউ ফরাক্কা বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে বাজার পরিক্রমা করে পদযাত্রা শেষ হয় জামতলা মোড়ে। ফরাক্কা লোকাল কমিটির উপস্থিতিতে এই জমায়েত হয়। পরে বাসে করে ধুলিয়ান পৌঁছন কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বামপন্থী অভিনেতা ও নাট্যপরিচালক সৌরভ পালোধি। সোমবার সাজুর মোড়ে পথসভা শেষে রঘুনাথগঞ্জে রাত্রিবাস করছেন নেতারা। মঙ্গলবার সেখান থেকেই ফের শুরু হবে যাত্রা।
এই পদযাত্রায় যুব নেতারা গুরুত্ব দিতে চাইছেন কৃষি ভিত্তিক শিল্পকে। রাজ্যের বাম শাসনের শেষ বেলায় সিপিএম নেতারা দাবি করতেন কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ। সে দিকে ঝুঁকছেন আন্দোলনরত যুবরা।