প্রতীকী ছবি।
গোষ্ঠী কোন্দল থামানোই তেহট্ট বিধানসভায় বিজেপির প্রধান চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন দলেরই কর্মী-সমর্থকদের একাংশ। স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নিয়েই ভোটের প্রস্তুতি নেওয়া হোক, চাইছেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, গোষ্ঠী কোন্দল না থামানো গেলে তেহট্ট বিধানসভায় এর প্রভাব পড়বে আগামী নির্বাচনে।
বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মতে, এত দিন ধরে রাজ্য রাজনীতিতে যা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল, তাতে ইতি টানতে সক্ষম বিজেপি। অমিত শাহের হাত ধরেই বিজেপিতে যোগদান করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। কাজেই বিধানসভা ভোটের আগে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি শিবির। নির্বাচনে চমক দিতে ইতিমধ্যে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজে নেমে পড়েছেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। কিন্তু তেহট্ট বিধানসভার ক্ষেত্রে বিজেপির অবস্থা নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছেন না দলেরই কর্মী-সমর্থকেরা। তাঁরা জানিয়েছেন, গোষ্ঠী কোন্দল না মিটলে ভাল ফলের আশা করা যাবে না। তাঁদের দাবি, মূলত এই বিধানসভায় বিজেপির নদিয়া জেলা উত্তর সভাপতি আশুতোষ পালের অনুগামী ছাড়াও কিসান মোর্চার রাজ্য সভাপতি মহাদেব সরকারের অনুগামীরা রয়েছেন। যাঁদের প্রভাবে গোষ্ঠী কোন্দল সামনে এসেছে এই বিধানসভার বিভিন্ন এলাকাগুলিতে। বেশ কিছু দিন আগে জেলা নেতৃত্বের নির্দেশে জেড পি-র সভাপতি পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে সেই কোন্দল প্রকাশ পায়। কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এখনও রয়েছে ক্ষোভ-অসন্তোষ। তাঁদের অভিযোগ, কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কোনও ধরনের আলোচনা ছাড়াই আশুতোষ পাল একাধিক জেড পি-র সভাপতি পরিবর্তন করেছেন। মূলত মহাদেব অনুগামীদের সরাতে এই ধরনের সিদ্ধান্ত জেলা নেতৃত্ব নিয়েছেন বলে তাঁরা জানিয়েছেন। এর জেরে মাস কয়েক আগেই কৃষ্ণনগরে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে জেলা নেতৃত্বকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান নদিয়া উত্তর বিজেপির কার্যকর্তারা। তারপরও কোনও ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বিজেপির তরফে এমনই অভিযোগ করেছেন বিজেপির একাংশ। দুই গোষ্ঠীর এই ঠান্ডা যুদ্ধ না থামলে এবং শক্ত হাতে পরিস্থিতি সামলানো না হলে এর বড়সড় প্রভাব পড়বে আগামী নির্বাচনে, এমনটাই মনে করছেন কর্মী-সমর্থকেরা।
তেহট্টের বিজেপি নেতা তথা জেড পি এইট-এর প্রাক্তন সভাপতি সজল ঘোষ বলেন, ‘‘জেলা নেতৃত্বের কিছু কাজে এখনও অসন্তোষের মধ্যে রয়েছেন কর্মী সমর্থকরা। ইতিমধ্যেই তা ঠিক করে নেওয়া উচিত, তা না হলে নির্বাচনে প্রভাব পড়তে পারে।’’
এ বিষয়ে মহাদেব সরকার বলেন, ‘‘সাংগঠনিক বিষয়ে যিনি নেতৃত্বে আছেন, তিনি পর্যালোচনা করে দেখুন। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় আসছে, সেখানে কোনও বাধাই থাকবে না।’’ নদিয়া উত্তর জেলা সভাপতি আশুতোষ পাল বলেন, ‘‘দল সমস্ত ধরনের ব্যবস্থা নেবে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য।’’