ইমামদের নিয়ে সভা। ডোমকলে। ছবি: সাফিউল্লা ইসলাম
পোলিও-টিকাকরণ থেকে বাল্য বিবাহ রোখা, ছেলেধরা গুজবে গ্রামীণ মানুষকে শান্ত করা থেকে ভোটার তালিকায় নাম লেখানো। মুর্শিদাবাদের গ্রামে ইমাম মোয়াজ্জিনরা যে বড় ভরসা তা মেনে নিচ্ছেন প্রশাসনের তাবড় কর্তারাও। এ বার সেই তালিকায় যোগ হল,— ‘এনআরসি গুজবে কান দেবেন না। সরকারি কর্মীরা তথ্য জানতে চাইলে তাঁদের সাহায্য করুন।’
দিন কয়েক ধরে জেলা জুড়ে নতুন করে গুজব ছড়িয়েছে, কৌশলে কেন্দ্রীয় সরকার গ্রামে গ্রামে লোক পাঠিয়ে এনআরসির জন্য তথ্য সংগ্রহ করছে। আর ওই কাজ করছে এনজিও, আশাকর্মী, আইসিডিএসকর্মী ছাড়াও স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশ। এমনকি বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের জন্য তথ্য সংগ্রহ করা এবং এনজিও কর্মীদের বাড়িতে ওই অভিযোগ তুলে চড়াও হয়ে মারধরের ঘটনাও ঘটছে লাগাতার।
শনিবার হরিহরপাড়ার পরে রবিবার থেকে ডোমকলের নানা গ্রামে শুরু হয়েছে কর্মীদের বাড়িতে হামলা। পরিস্থিতি সামাল দিতে নাজেহাল হতে হয় পুলিশকে। এমনকি অনেক এলাকায় ওই কর্মীরা এনআরসির কাজ করছে না এমন মুচলেকাও দিতে হয়েছে গ্রামের লোকের কাছে। সেই গুজব প্রশমিত করতে ফের ইমামদের শরনাপন্ন হল জেলা প্রশাসন। ডোমকলের বিডিও পার্থ মণ্ডল বলেন, ‘‘পনেরো জন আইসিডিএস কর্মীর ফোন পেয়েছি। তারা খুব আতঙ্কের মধ্যে আছেন। এই আতঙ্ক কাটাতে গ্রামের ইমামদের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। তাঁরা যদি একটু বোঝান।’’
এক ঝলকে
ডোমকল মহকুমায় প্রায় ১৩০০ মসজিদ রয়েছে। তার মধ্যে ডোমকল ব্লকেই রয়েছে ৪৮২টি মসজিদ। হরিহরপাড়া ব্লকে ২৫৫টি ও নওদা ব্লকে ২৩৮টি মসজিদ রয়েছে। সব মসজিদে ইমাম এবং মোয়াজ্জিন আছেন।
ইতিমধ্যেই হরিহরপাড়া এলাকায় ইমামেরা এ ব্যাপারে প্রচার শুরু করেছেন। তাতে ফল মিলেছে হাতেনাতে। দিন দুয়েকে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এখন দেখার ডোমকলে ইমামদের নিয়ে সভা কতটা সফল হয়।