শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্নায় যুবক। — নিজস্ব চিত্র।
স্ত্রী, সন্তান এবং গাড়ি ফেরত দেওয়ার দাবিতে বুকে পোস্টার সেঁটে ধর্নায় বসেছেন যুবক। এই ছবি দেখা গেল নদিয়ার শান্তিপুরে। তাঁর অভিযোগ, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে স্ত্রীর। সেই কারণে দীর্ঘ দিন ধরে তাঁর সঙ্গে বনিবনা নেই। চলছে আইনি লড়াইও। ওই যুবকের দাবি, স্ত্রীকে খোরপোশ বাবদ লক্ষাধিক টাকা দিয়েছেন তিনি। অথচ স্ত্রী তাঁর গাড়ি আটকে রেখেছেন বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না তাঁর একমাত্র পুত্রসন্তানের সঙ্গেও। এই সমস্ত দাবি পোস্টারে লিখে রবিবার সকাল থেকে ধর্না শুরু করেন ওই যুবক। যদিও তাঁর তোলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাঁর স্ত্রী।
নদিয়ার বাসিন্দা ওই যুবক পেশায় গ্যাসের ডেলিভারি বয়। বছর দশেক আগে সম্বন্ধ করে তাঁর বিয়ে হয়েছিল শান্তিপুরের এক তরুণীর সঙ্গে। তাঁদের ৭ বছরের একটি পুত্রসন্তান আছে। যুবকের অভিযোগ, বছর খানেক আগেই স্ত্রীর কিছু হোয়াট্সঅ্যাপ চ্যাট তাঁর নজরে আসে। ওই যুবকের দাবি, এর পরই প্রকাশ্যে আসে স্ত্রীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক। তার পর থেকেই বাপের বাড়িতে থাকেন ওই যুবকের স্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন ওই যুবক। তাঁর আরও দাবি, খোরপোশ বাবদ স্ত্রীকে এক লক্ষ টাকা দিয়েছেন তিনি। অভিযোগ, তাঁর গাড়িটিও কব্জা করেছেন স্ত্রী। এমনকি ছেলের সঙ্গেও দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ ওই যুবকের। এ নিয়ে রবিবার সকাল থেকে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন ওই যুবক। তাঁর কথায়, ‘‘বার বার বলেও কোনও কাজ হয়নি। তাই আজ বাধ্য হয়ে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছি। ফিরলে এখান থেকে স্ত্রী এবং সন্তানকে নিয়েই ফিরব।’’
ওই যুবককে ধর্নায় বসতে দেখে ভিড় জমাতে শুরু করেন স্থানীয়ের। যদিও এতে মন গলেনি তাঁর স্ত্রীর। তরুণীর অভিযোগ তুলেছেন, স্বামীর সমস্ত কথাই সাজানো। প্রতিবেশীরা বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার কে কান্নান জানিয়েছেন, বিষয়টির উপরে নজর রাখা হচ্ছে। নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।