স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ। প্রতীকী চিত্র।
বেশিরভাগ সময় ফোনে ব্যস্ত থাকতেন স্ত্রী। যা নিয়ে স্বামী আপত্তি জানিয়েছিলেন কয়েক বার। মঙ্গলবার চরমে পৌঁছয় অশান্তি। বচসা চলাকালীন হাঁসুয়া দিয়ে স্ত্রীকে এলোপাথাড়ি কোপানোর অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। প্রতিবেশীরা ওই বধূকে উদ্ধার করে নিয়ে যান স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নদিয়ার ভীমপুরের ওই ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে।
ভীমপুর থানার এলাঙ্গি এলাকায় থাকতেন অঞ্জলি বিশ্বাস এবং তাঁর স্বামী শৈলেন বিশ্বাস। তাঁদের দুই পুত্র সন্তান এবং এক কন্যা সন্তান রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্য পুরুষের সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্ক রয়েছে এই সন্দেহে গত ছ’মাস ধরে শৈলেন এবং অঞ্জলির মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে এ নিয়ে বচসা বাধে দু’জনের। সেই সময় হঠাৎ হাঁসুয়া নিয়ে স্ত্রীর উপরে চড়াও হন শৈলেন। এলোপাথাড়ি কোপে গুরুতর আহত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন অঞ্জলি। স্থানীয়েরা তাঁকে উদ্ধার করে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি। স্ত্রীর মৃত্যুর পর গা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করে শৈলেন। কিছু ক্ষণের মধ্যে ভীমপুর থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।
অঞ্জলির মাসি সন্ধ্যা মজুমদার বলেন, ‘‘আমাদের মেয়েকে মিথ্যে অভিযোগে কুপিয়ে মারা হয়েছে। শৈলেনের চরিত্রই খারাপ ছিল। আমরা শৈলেনের ফাঁসি চাই।’’ বিষয়টি নিয়ে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার ঈশানী পাল বলেন, ‘‘দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হবে।’’