কংগ্রেস হাইকমান্ডের ‘বার্তা’ উপেক্ষা করেই গত ১১ মে অজমের থেকে ‘জন সংঘর্ষ যাত্রা’ শুরু করেছিলেন সচিন। ছবি: পিটিআই।
তাঁর দাবি না মানলে রাজ্যব্যাপী আন্দোলন শুরু করার ‘হুমকি’ দিয়েছেন রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট। আর সেই পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রয়েছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। এমনটাই জানালেন রাজস্থান কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত নেতা কাজি নিজামউদ্দিন।
চলতি বছরের শেষেই রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু তার আগে সে রাজ্যে কংগ্রেসের অন্দরের শীর্ষ দুই নেতৃত্বের অন্তর্দ্বন্দ্ব অব্যাহত। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত এবং সচিন পাইলট ধারাবাহিক ভাবে পরস্পরকে নিশানা করে চলেছেন। তার মধ্যেই কংগ্রেস হাইকমান্ডের ‘বার্তা’ উপেক্ষা করেই গত ১১ মে অজমের থেকে ‘জন সংঘর্ষ যাত্রা’ শুরু করেছিলেন সচিন। সেই কর্মসূচির শেষে বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়েছেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। পাশাপাশি তাঁর দাবি, রাজস্থান পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে বরখাস্ত করে পুনর্গঠন করা এবং প্রশ্ন ফাঁসের পর ক্ষতির মুখে পড়া লক্ষ লক্ষ চাকরিপ্রার্থীর জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া। সচিন চূড়ান্ত বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, চলতি মাসের মধ্যে তাঁর দাবি না মানা হলে রাজ্যব্যাপী আন্দোলন শুরু করবেন তিনি। তার পর থেকেই ‘অসন্তুষ্ট’ নেতার কার্যকলাপের দিকে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের নজর রয়েছে বলে জানিয়েছেন কাজি।
কাজি বলেন, ‘‘সচিন (পাইলট) কংগ্রেসের একটি শক্তিশালী স্তম্ভ। আমাদের জাতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে পুরো বিষয়টি জানেন এবং সমস্ত কার্যকলাপের উপর তিনি নজর রাখছেন।’’
সচিনের তোলা দাবি প্রসঙ্গে নিজামউদ্দিন জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকে এবং যদি সত্যিই কোনও সমস্যা থেকে থাকে, তা হলে সরকার অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। খড়্গে পুরো বিষয়টি নিয়ে অবগত রয়েছেন এবং তিনি বা তাঁর দ্বারা অনুমোদিত কোনও নেতাই এই বিষয়ে কথা বলতে পারেন বলেও জানিয়েছেন নিজামউদ্দিন।
প্রসঙ্গত, কর্নাটক নির্বাচনে বিপুল আসনে জয়লাভ করেছে কংগ্রেস। তবে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। কর্নাটকের অধিকাংশ কংগ্রেস বিধায়ক সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চাইলেও, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দাবিতে অনড় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমার-ও। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। বুধবার জট কাটিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলে খড়্গে নিজে বেঙ্গালুরু গিয়ে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের সঙ্গে বৈঠক করে নাম ঘোষণা করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে রাজস্থানেও শীর্ষ দুই নেতার অন্তর্দ্বন্দ্ব কংগ্রেস নেতৃত্বকে চাপে রেখেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।