Murshidabad Death

মদ খাওয়ার টাকা না পেয়ে ক্ষুব্ধ, ঝাড়খণ্ড থেকে মুর্শিদাবাদে এসে স্ত্রীকে খুন করলেন স্বামী

ধারালো অস্ত্রের কোপে জখম যুবতীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

রঘুনাথগঞ্জ শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২৪ ১৫:৩৭
Share:

—প্রতীকী ছবি

মদ খাওয়ার টাকা না পাওয়ায় স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানা এলাকার মির্জাপুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম পানসুরি মারান্ডি (২৪)। ধান রোপণের কাজ করার জন্য ঝাড়খণ্ড থেকে মুর্শিদাবাদে এসেছিলেন তিনি। অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার পরিবারের লোকজন। তবে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডের কোলাবাড়ি এলাকার মহেশপুর থেকে মুর্শিদাবাদের মির্জাপুরে ধান রোপণের কাজ করতে এসেছিলেন পেশায় দিনমজুর পানসুরি। পানসুরির সঙ্গে তাঁর স্বামীর কাজে আসার কথা থাকলেও অভিযুক্ত প্রথমে মুর্শিদাবাদে আসেননি। বুধবার রাতে মুর্শিদাবাদের মির্জাপুরে এসে পৌঁছন মৃত মহিলার স্বামী। অভিযুক্ত মদের টাকা চাইতেই শুরু হয় বচসা। টাকা দিতে অস্বীকার করেন স্ত্রী। অভিযোগ, তার পরে হঠাৎই ধারালো অস্ত্র নিয়ে স্ত্রীর উপরে হামলা চালান অভিযুক্ত ব্যক্তি। মহিলার চিৎকার শুনে ছুটে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। তার পরেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্ত। স্থানীয় বাসিন্দারা জখম পানসুরিকে জঙ্গিপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। অভিযুক্ত স্বামীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। এই প্রসঙ্গে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় বলেন, “স্বামী-স্ত্রীর গন্ডগোলের জেরে খুনের ঘটনাটি ঘটেছে। ঝাড়খণ্ড পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আমরাও তদন্ত করছি।”

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মুরলী হেমব্রম বলেন, “সোমবার কাজে আসার কথা থাকলেও আসেনি। বুধবার রাতে হঠাৎ বাড়িতে এসে মদের টাকার জন্য অশান্তি শুরু করে। ওর বৌ সেই টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় হাঁসুয়া দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। স্থানীয়েরা ছুটে এলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। পানসুরির টাকাতেই সংসার চলত। আর তার স্বামী নেশা করে সারা দিন পড়ে থাকে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement