(বাঁ দিকে) জামাল এবং জামালের বাড়ির সুইমিং পুলে সেই কচ্ছপ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র
ঈশপের সেই গল্পে গতির লড়াইয়ে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের জন্য কচ্ছপের কাছে হারতে হয়েছিল খরগোশকে। আর সোনারপুরের জামালউদ্দিন ওরফে জামালের বাড়িতে খরগোশের গতিতেই উধাও হয়ে গেল আস্ত একটি কচ্ছপ। অগত্যা কচ্ছপ উদ্ধার অভিযানে গিয়ে খালি হাতেই ফিরতে হল বন দফতরের কর্মীদের। আগের দু’বার না পারলেও বৃহস্পতিবার অবশ্য জামালের প্রাসাদোপম বাড়ির ভিতরে ঢুকতে পেরেছিলেন তাঁরা। সঙ্গে ছিল সোনারপুর থানার পুলিশও। কিন্তু জাল নিয়ে পুলিশ এবং বন দফতরের কর্মীরা বাড়িতে ঢুকলেও সুইমিং পুলে কচ্ছপটিরই দেখা মেলেনি! কয়েক দিন আগেও জামালের সুইমিং পুলে শোভাবর্ধন করা কচ্ছপটি রাতারাতি কোথায় গেল, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
এর আগেও একাধিক বার জামালের বাড়ির কচ্ছপ উদ্ধারে সচেষ্ট হয়েছিল বন দফতর। কিন্তু বাড়ির দরজা বন্ধ থাকায় কচ্ছপটিকে উদ্ধার করা যায়নি। এর আগে তৎকালীন বিভাগীয় বন আধিকারিক (ডিএফও) মিলন মণ্ডল জানিয়েছিলেন, জামালের বাড়িতে যে কচ্ছপ দেখা গিয়েছে, তার বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘ইন্ডিয়ান সফ্ট শিল্ড টার্টল’। ওই কচ্ছপ বাড়িতে রাখার জন্য সর্বোচ্চ তিন থেকে সাত বছরের জেল এবং ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে বলে জানান তিনি।
গত ৭ জুলাই জামালের বিরুদ্ধে সোনারপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়। সেখানে সালিশি সভার নামে পায়ে শিকল বেঁধে এক মহিলাকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। তার পর অন্যের জমি হাতিয়ে সুবিশাল বাড়ি তৈরি করা, নীতিপুলিশি-সহ বিস্তর অভিযোগ ওঠে জামালের বিরুদ্ধে। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হত না বলে দাবি করেন স্থানীয়েরা। তিন দিন তল্লাশির পর বাসন্তী হাইওয়ে থেকে সোনারপুরের দিকে যাওয়ার রাস্তা থেকে গ্রেফতার করা হয় জামালকে। মুখে মাস্ক পরে পুলিশের চোখে ধুলো দিতে চেয়েছিলেন। ফোন এবং সিম পাল্টে ফেলেছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।