Murder

পুত্র সন্তানের জন্য দ্বিতীয় বিয়ের তোড়জোড়, বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ করিমপুরে

নদিয়ার থানারপাড়ার ধোরাদহের বাসিন্দা ভৈরবী দাসের সঙ্গে ৯ বছর আগে বিয়ে হয় বিশ্বজিৎ দাসের। তিনি গাড়িচালক। তাঁদের ২ কন্যাসন্তান। ভৈরবীর পরিবারের দাবি, দ্বিতীয় বিয়ের কথা চিন্তা করছিল বিশ্বজিৎ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

করিমপুর শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৩ ১৫:৩৫
Share:

স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ। প্রতীকী চিত্র।

পুত্র সন্তানের জন্য দ্বিতীয় বিয়ে করার তোড়জোড় করছিলেন যুবক। তাতে বাধা দেওয়ায় তরুণীকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার মুরুটিয়া থানার দাসপাড়া এলাকায়। বুধবার রাত ২টো নাগাদ বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে জানান। মৃতের নাম ভৈরবী দাস (২৪)। মৃতার মায়ের অভিযোগ, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে ‘পথের কাঁটা’ সরাতে তাঁর মেয়েকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করেছেন জামাই।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার থানারপাড়ার ধোরাদহের বাসিন্দা ভৈরবীর সঙ্গে ২০১৪ সালে বিয়ে হয়েছিল বিশ্বজিৎ দাসের। তিনি পেশায় গাড়িচালক। তাঁদের ২ কন্যাসন্তান রয়েছে। ভৈরবীর পরিবারের দাবি, পুত্র সন্তানের আশায় দ্বিতীয় বিয়ের কথা চিন্তা করছিল বিশ্বজিৎ। বছরখানেক ধরে তিনি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে ভৈরবীর পরিবারের দাবি। এ নিয়ে পরিবারে অশান্তিও লেগেছিল। দোল উৎসবের দিন অশান্তি বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছায়। সন্তানদের নিয়ে বাপেরবাড়িতে বাড়িতে চলে যান ভৈরবী। যদিও পর দিন তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় শ্বশুরবাড়িতে। বুধবার রাত ২টো নাগাদ এক অজ্ঞাতপরিচয়ের ফোনে ভৈরবীর পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, তাঁর দিদিকে গলায় দড়ি দিয়ে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। খবর শোনা মাত্র ভৈরবীর বাপেরবাড়ির লোকজন পৌঁছে যান তাঁর শ্বশুরবাড়ি। সেখান থকে তাঁরা যান করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু তত ক্ষণে ভৈরবী মৃত বলে জানিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

ভৈরবীর মা ভাদু দাসের অভিযোগ, ‘‘ওদের ২ মেয়ে ছিল বলে জামাই অশান্তি করত। ও চাইত একটা ছেলে হোক। তাই আবার বিয়ে করবে বলে ঝামেলা করছিল। মেয়ে সব জানতে পেরে গিয়েছিল। তাই আমার মেয়েকে গলায় দড়ি দিয়ে টাঙিয়ে খুন করল।’’ সমর দাস নামে ভৈরবীর এক আত্মীয় বলেন, মঙ্গলবারও দুপুরে ফোনে কথা হয়েছিল আমার সঙ্গে। ও ভাল করে কথা বলল না। মনে হল খুব কষ্টে আছে। তা বলে যে ওকে এ ভাবে মেরে ফেলবে ভাবতেও পারিনি।’’

Advertisement

ভৈরবীর দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। তেহট্টের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শুভতোষ সরকার বলেন, ‘‘মৃতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে বধূ নির্যাতন এবং খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement