ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি কাইজার আহমেদের। — ফাইল চিত্র।
মহার্ঘ ভাতা (ডিএ)-র দাবিতে আন্দোলনে নামা সরকারি কর্মীদের উদ্দেশে হুমকি দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদ। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। ভোটের দিন বুথে প্রিসাইডিং অফিসারের পাশাপাশি অন্যান্য দায়িত্ব সামলাবেন সরকারি কর্মীরাই। তাঁদের ‘চাপে’ রাখার জন্য দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন কাইজার। ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি কর্মীদের ‘ডিস্টার্বগিরি’ মেনে নেওয়া হবে না বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি। তাঁর মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন ভাঙড়ের ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।
বুধবার বিকেলে ভাঙড়ের বড়ালি এলাকায় একটি কর্মিসভা করেন কাইজার। সেই সভা থেকে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলনে নামা সরকারি কর্মচারীদের নিশানা করে ভাঙড়ের ওই তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘এদের পোষায় আর না। এরা আবার কিন্তু ভোট করাতে আসবে। বলে দিলাম।’’ এই সূত্রেই দলীয় কর্মীদের বোঝানোর সুরে তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা প্রিসাইডিং অফিসার হন, সব এই লোক। আজ যাঁরা রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন— ভাতা দাও, ডিএ দাও, হ্যান দাও, ত্যান দাও বলে। বলছে, ভাতা না দিলে ভোট করতে যাব না।’’
দলীয় কর্মীদের প্রতি কাইজারের বার্তা, ‘‘এরা বুথে এলে নিজেদের লোক বলে চাটাচাটি কোরো না যেন। এদের সব ডিস্টার্ব। ভোট দিয়ে এসেছে, ব্যালটে ডিস্টার্ব। আবার এখানে এসেও ডিস্টার্ব করবে। ওদের ডিস্টার্বগিরি ছাড়িয়ে দিতে হবে কিন্তু। আগে বুথের মধ্যে অনেক কায়দা করতিস। সে আর বলে লাভ নেই। ওদের মুরগির মাংস খাওয়ানোর চিন্তাভাবনা করিস না। চাপে রাখবি। যা মনে করেছে তাই নাকি?’’
কাইজারের মন্তব্য নিয়ে নওশাদের বক্তব্য, ‘‘এটা ২০১৮ নয়। কেউ একচেটিয়া ভোট করাতে চাইলে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আমরা ভাঙড়ের মানুষকে নিয়ে প্রতিবাদ করব। এই সব কথা বলে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন তৃণমূল নেতারা। তা আর করা যাবে না।’’