—প্রতীকী ছবি।
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন স্ত্রী। এমন সন্দেহে ধারালো অস্ত্রের এলোপাথাড়ি কোপে তাঁকে ও পুত্রকে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। রবিবার গভীর রাতে রানাঘাটের তাহেরপুর থানা এলাকার বাদকুল্লা বাবুজি নগর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। খুনের অভিযোগে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত স্বামীকে। ধৃতের সাত দিনের পুলিশে হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ছয়েক আগে বিয়ে হয়েছিল সুপ্রিয়া বিশ্বাস ও শুক্লা বিশ্বাসের। স্বামী-স্ত্রী দু’জনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। পেশায় ট্রাক চালক সুপ্রিয় দীর্ঘ তিন বছর পর শনিবার রাতে মহারাষ্ট্র থেকে নদিয়ার বাদকুল্লার বাড়িতে ফেরেন । বাড়ি ফিরেই স্ত্রী শুক্লার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে শুরু হয় বচসা। টানা দু’দিন অশান্তির পর সোমবার সকালে বধুর পরিবার খবর পায়, কুপিয়ে খুন করা হয়েছে শুক্লা ও তাঁর সন্তানকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বধূর পরিবারের লোকজন। প্রতিবেশীদের সূত্রে তারা জানতে পারেন, রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত অশান্তি চলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। বধুর বাড়ির লোকেদের দাবি, সুপ্রিয়ই শুক্লা (৩৫) ও তাঁর সন্তান বাপি বিশ্বাস (১২)-কে খুন করেছেন। মৃতা বধূর মায়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলার রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে স্বামী সুপ্রিয়কে। ধৃতকে সোমবার রানাঘাট আদালতে পেশ করা হলে বিচারক সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
মৃতার জামাইবাবু জয়ন্ত দত্ত বলেন, ‘‘ভাল ছেলে মনে করে সুপ্রিয়ের সঙ্গে শ্যালিকার বিয়ে দিয়েছিলাম। মাঝে মাঝে অশান্তি করে। তবে এ ভাবে খুন করবে ভাবতে পারিনি।’’ রানাঘাটের এসডিপিও প্রবীর মণ্ডল বলেন, ‘‘দু’জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার অভিযোগের ভিত্তিতে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’