নিজস্ব চিত্র।
বহরমপুর থানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-কে দিয়ে তদন্তের দাবিতে সরব হল বিজেপি। বুধবার এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন বিজেপির মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ জেলার সভাপতি শাখারভ সরকার। এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে শাখারভ বলেন, ‘‘ঘটনার পর ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও বিস্ফোরণের কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। রাজ্য পুলিশ কিছু একটা ধামাচাপা দিতে চাইছে। ফলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছি।’’
সূত্রের খবর, ওই চিঠিতে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া আরও কয়েকটি বিষয়েরও উল্লেখ করেছেন শাখারভ। তবে বিজেপি-র এনআইএ তদন্তের দাবির প্রেক্ষিতে জেলা তৃণমূল নেতা অশোক দাস বলেন, ‘‘বিজেপি সব কিছুতেই রাজনীতি খুঁজছে। থানায় বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’’ এ দিন জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘ঘটনার পর ৪৮ ঘন্টা কেটে গেলেও বিস্ফোরণের কারণ কী, তা পরিষ্কার করে বলতে পারেনি পুলিশ। এতেই জেলা পুলিশের ব্যর্থতা প্রমাণিত হয়। তবে এনআইএ'র দাবি ভিত্তিহীন। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি করছি। যাতে বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ সামনে আসে।’’ কোনও পুলিশকর্মী, আধিকারিকের গাফিলতি থাকলে তাঁদেরও শাস্তির দাবি তোলেন তিনি।
গত সোমবার দুপুরে বহরমপুর থানার মালখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় ছয় পুলিশকর্মী আহত হন। আহতদের পাঁচ জনকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে একজন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বিস্ফোরণের কারণ হিসেবে পুলিশের একাংশের ধারণা, মালখানায় রাখা মোবাইল টাওয়ারের ব্যাটারি থেকেই ওই বিস্ফোরণ ঘটেছে। তবে কী বিস্ফোরণ হয়েছে, তা খোলসা করে জানাতে পারেননি পুলিশ সুপার। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ জানতে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের ডাকা হয়েছে। এ ছাড়া, থানায় কী কী জিনিসপত্র ছিল, তারও একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এ দিন মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার কে শবরী রাজকুমার বলেন, ‘‘কে, কী বললেন, তা নিয়ে মন্তব্য করব না। থানার মালখানায় একাধিক জিনিস থাকে। তার মধ্যে কোন বস্তু ফেটেছে, তার তদন্ত চলছে। সে জন্য আমরা ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদেরও ডেকেছি।’’