Vandalisation

রাতে ভাঙচুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, আটক যুবক

প্রশান্তের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, সেই সময় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ‘অ্যাম্বুল্যান্স’ থাকলেও চালক ছিলেন না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

নবদ্বীপ শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:২৩
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

রোগীকে অন্যত্র স্থানান্তরের সময় ‘অ্যাম্বুল্যান্স’ না মেলায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মায়াপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, জনা বিশেক যুবক মাঝ রাতে বেশ কিছু ক্ষণ ধরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাণ্ডব চালায়। খবর পেয়ে মায়াপুর ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশের দাবি, তার আগেই ঘটনাস্থল ছাড়ে অভিযুক্তেরা। তবে ওই এক যুবককে আটক করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

Advertisement

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে নবদ্বীপের মায়াপুর-বামনপুকুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের ভারুইডাঙা গ্রামের বাসিন্দা প্রশান্ত ঘোষকে শুক্রবার রাতে মায়াপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসেন তাঁর পরিবারের লোকজন। সঙ্গে ছিলেন জনা কুড়ি যুবক। বছর আঠাশের প্রশান্তের শারীরিক অবস্থা দেখে তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

প্রশান্তের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, সেই সময় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ‘অ্যাম্বুল্যান্স’ থাকলেও চালক ছিলেন না। এ নিয়ে কথাবার্তা চলাকালীন প্রশান্ত আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়ে সঙ্গে আসা যুবকেরা। তবে কোনও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। ওই যুবকেরা স্বাস্থ্যকেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে ‘অ্যাম্বুল্যান্স’ চালক না থাকার কারণ ‘জিজ্ঞাসা’ করেছিল মাত্র।

Advertisement

স্বাস্থ্যকেন্দ্র কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আদৌ কোনও অ্যাম্বুল্যান্স নেই। আছে একটি মাতৃযান। প্রসূতির চাপ না থাকলে অনেক সময় স্বাস্থ্যকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ মানবিকতার খাতিরে সেটি অন্য রোগীদের ব্যবহার করতে দেন। রাত ১২টার সময় কেন মাতৃযানের চালক থাকবেন না সেই প্রশ্ন তুলে শুরু হয় ভাঙচুর।

কর্তৃপক্ষের দাবি, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভাঙচুর চালানোর ঘটনাটি সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, রাত ১২টা নাগাদ ওই রোগীর সঙ্গে আসা জনা কুড়ি যুবক দফায় দফায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঢুকছে। অধিকাংশের মাথা-মুখ মাফলারে জড়ানো। প্রথমে তারা কর্তব্যরত চিকিৎসককে হুমকি ও পরে ভাঙচুর চালাচ্ছে। ছবিতে তাদের চেয়ার, টেবিল, ওষুধ সবকিছু লণ্ডভণ্ড করতেও দেখা যাচ্ছে। ওই রাতে কর্তব্যরত চিকিৎসক গোবিন্দগোপাল বিশ্বাসকে লক্ষ্য করে কিছু ছুড়ে মারার দৃশ্যও ধরা পড়েছে সিসি ক্যামেরায়।

নবদ্বীপের ব্লক মেডিক্যাল অফিসার দীপনারায়ণ ভুঁইঞা বলেন, “আমরা রাতেই বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। দেওয়া হয়েছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজও। যাতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।” শনিবার লিখিত ভাবে পুলিশের কাছেও অভিযোগ জানানো হয়েছে। যদিও নির্দিষ্ট কারও নামে অভিযোগ হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দেওয়া সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অপরাধীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে ওই গ্রামে তল্লাশি চালিয়ে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement