Admission in Class XI

একাদশে ভর্তি নিয়ে বিপাক কিছু স্কুলে

ঝাড়খণ্ড লাগোয়া শমসেরগঞ্জের ভাসাই পাইকর হাইস্কুল তো রীতিমতো নোটিস ঝুলিয়ে দিয়েছে একাদশ শ্রেণিতে আর ভর্তি করা যাবে না বলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জঙ্গিপুর শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২৪ ০৮:৪০
Share:

ভাসাইপাইকর স্কুলের বিজ্ঞপ্তি।

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে বিড়ি মহল্লার সুতি, শমসেরগঞ্জ ও ফরাক্কার বেশ কয়েকটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল। প্রতিটি স্কুল থেকে মাধ্যমিকে পাশ করেছে ৬০০ থেকে ৮০০ ছাত্রছাত্রী। স্কুলগুলি সরকারি নির্দেশ মতো ৪০০ জনের বেশি ছাত্রছাত্রীকে ভর্তির অনুমতি না পাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে একাদশে ভর্তি। হাতে মাত্র ৭ দিন সময়। ভর্তি না হতে পেরে স্কুলগুলিতে প্রতিদিনই বিক্ষোভ দেখাচ্ছে ছাত্ররা।

Advertisement

প্রায় সাড়ে ১০ হাজার ছাত্রছাত্রী ছাবঘাটি কেডি বিদ্যালয়ে। বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও কলা তিনটি বিভাগই রয়েছে স্কুলে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক কৌশিক দাস বলেন, “আমাদের স্কুল থেকে এ বারে মাধ্যমিক পাশ করেছে ৬৬৮ জন ছাত্রছাত্রী। আশপাশের হাইস্কুলগুলি থেকে আরও অন্তত ২০০ জন আবেদন করেছে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য। সরকারি নির্দেশ মতো প্রথমে ৩০০ জনকে ভর্তি করা হয়। পরে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক আরও ১০০ জনকে ভর্তির অনুমতি দেন। জানিয়ে দেওয়া হয় জেলা শিক্ষা দফতর থেকে এর বেশি আর ভর্তির অনুমতি দেওয়া হবে না। এখনও আমাদের নিজের স্কুলেরই ২৬৮ জন ছাড়াও বাড়তি ২০০ জন ভর্তি হতে বাকি। সব মিলিয়ে ৪৬৮ জনের ভর্তির অনুমতি দরকার। আমি উচ্চ মাধ্যমিক কাউন্সিলের কাছে আবেদন করেছি। কোনও উত্তর আসেনি। অথচ ৩০ জুন একাদশ শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশনের শেষ দিন। তা হলে ভর্তি হতে না পারা ছাত্রছাত্রীরা কোথায় যাবে? রোজ স্কুলে এসে বিক্ষোভ করছে।”

ঝাড়খণ্ড লাগোয়া শমসেরগঞ্জের ভাসাই পাইকর হাইস্কুল তো রীতিমতো নোটিস ঝুলিয়ে দিয়েছে একাদশ শ্রেণিতে আর ভর্তি করা যাবে না বলে। প্রধান শিক্ষক মহম্মদ তসিকুল ইসলাম বলেন, “আমার স্কুলে মাধ্যমিক পাশ করেছে ৫৩৬ জন। ৪০০ জন ভর্তি হয়ে গেছে। জেলায় অনুমতি না পেয়ে রাজ্য উচ্চ মাধ্যমিক কাউন্সিলকে এক মাস আগে আবেদন করি। শুনেছিলাম বাস্তব অবস্থা দেখতে স্কুলে আসবেন তাদের প্রতিনিধি। কিন্তু পাশের দুটি স্কুলে এলেও আমার স্কুলে আসেননি। তাই ভর্তি বন্ধ করে নোটিস ঝুলিয়ে দিয়েছি। কিছুই করার নেই।”

Advertisement

কাঞ্চনতলা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ আব্দুল হাই মাসুদ রহমান বলেন, “আমিও একই সমস্যায় ছিলাম। মাধ্যমিকে পাশ করেছে ৫২৪ জন। ধুলিয়ান শহরের শতবর্ষ প্রাচীন স্কুল। আরও ২০০ জনের আবেদন রয়েছে একাদশে ভর্তির। ভর্তি করতে পেরেছি ৪৬৪ জনকে। স্কুলে এসেছিলেন উচ্চ মাধ্যমিক কাউন্সিলের দুই প্রতিনিধি। তাঁরা অবশ্য আশ্বাস দিয়ে গেছেন সব ছাত্র ভর্তির অনুমোদনের। সেই ভরসায় আছি। হাতে মাত্র ৭দিন সময়।”

এবিটিএ-র জেলা সভাপতি জুলফিকার আলি বলেন, “এক সপ্তাহ সময় আছে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশনের। বিড়ি শিল্পাঞ্চলের ১০-১২টি স্কুলেই একাদশে ভর্তি নিয়ে এই সমস্যায় পড়ছে কয়েক বছর থেকে। এর একটি স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করা উচিত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement