স্থানীয় একটি পাঠদান কেন্দ্রে আবাসিক হিসাবে থেকে লেখাপড়া চালিয়েছেন আলফাজ। নিজস্ব চিত্র
হাই মাদ্রাসার ফলে মুর্শিদাবাদ জেলার মধ্যে প্রথম হয়েছে অমৃতকুণ্ড নবগ্রামের বাসিন্দা আলফাজ শেখ। আর্থিক অস্বচ্ছলতা থাকলেও শিক্ষকদের নির্দেশ মেনে পড়াশুনা করেই এসেছে সাফল্য তাঁর। এমনটাই জানিয়েছে সুলতানপুর হাই মাদ্রাসার ছাত্র আলফাজ।
তাঁর বাবা অনুকূল ইসলাম পেশায় শিক্ষক। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মসূচির অধীন মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রে পড়ান তিনি। আফজলরা ছয় ভাই-বোন। আর্থিক অসচ্ছলতা থাকলেও প্রত্যেককে লেখাপড়া করাচ্ছেন তিনি। বড় ছেলে বি-টেক পড়ছে। আলফাজের সাফল্যে তিনি নিজের সাফল্য দেখছেন।
স্থানীয় একটি পাঠদান কেন্দ্রে আবাসিক হিসাবে থেকে লেখাপড়া চালিয়েছেন আলফাজ। ফল জানার পর তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘ফল ভাল হবে জানতাম, তা বলে প্রথম হব ভাবিনি।’’ কী ভাবে পড়াশোনা করে এসেছে এই সাফল্য তা-ও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘শিক্ষকরা যে ভাবে গাইড করতেন সে ভাবেই পড়তাম। পড়ার কোনও নির্দিষ্ট সময়সূচি ছিল না।’’
ছোট থেকে স্কুলে প্রথম আলফাজের সাফল্যে খুশি প্রধান শিক্ষকও। তাঁর কথায়, ‘‘ওর সাফল্য আমাদের স্কুলকে গর্বিত করেছে।’’ স্কুলের আরও এক ছাত্র রাসেল আমিনও জেলায় দশম হয়েছে।
সুলতানপুর মাদ্রাসার আরবি বিষয়ের শিক্ষক আব্দুর রহমান বলেন, ‘‘পড়াশোনার পাশাাশি সমস্ত নৈতিক গুণাবলী ওর মধ্যে আছে। মাদ্রসা সংস্কৃতির সাথে ও নিজেকে মিশিয়ে নিয়েছে।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।